ভোলায় অবৈধ ইটভাটায় মোবাইলকোর্টের অভিযান, জরিমানা
এনটিভিতে সংবাদ প্রচারের পর ভোলায় অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় তারা ড্রাম চিমনি ফেলে দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পানি দেওয়াসহ জরিমানা করেন ইটভাটার মালিকদের।
আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার তিনটি ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়। অবৈধ ইটভাটা আখন-১, আখন-২ ও রাত্রি নামে তিনটি ইটভাটার ড্রাম চিমনি ফেলে দেওয়া হয়। পরে জ্বলন্ত চিমনির আগুনে কিছুটা পানি দেওয়া হয়।
এসময় খবর পেয়ে চরফ্যাশন ইটভাটা মালিক সমিতির নেতারা ছুটে আসেন। তাদের আসার পরেই অভিযানে ভাটা নামে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন আসার আগেই ইটভাটার মালিকরা একটি চিমনি নামিয়ে রাখে। পরে ম্যাজিস্ট্রেট আসার পরে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তোতা মিয়া কারও সহযোগিতা না পেয়ে নিজেই অবৈধ ড্রাম চিমনি টেনে ফেলে দেন।
ইটভাটা মালিক সমিতির নেতারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির শাহ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তোতা মিয়ার সাথে কথা বলেন। এই তিনটা ইটভাটার পরে আর কোন ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। তবে আখন-২ ও রাত্রি নামক ইটভাটায় অভিযান শুরু করার পরে ড্রাম চিমনি ফেলার পরে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা জ্বলন্ত আগুনে পানি দেওয়া শুরু করলেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে আগুন নেভানোর কাজ বন্ধ করে দেয়। এই দুই ইটভাটায় কাঁচা ইটে পানি দিয়ে নষ্ট না করেই লোক দেখানো অভিযান শেষ করা হয়।
যদিও প্রত্যেকটি ইটভাটা মালিককে ৫০ হাজার করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। তবে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন ওঠে অভিযান পরিচালনার স্বচ্ছতা নিয়ে। এসব ইটভাটাগুলো মূলত করা হয়েছে সরকারি বনায়নের একেবারেই পাশে।
এসব বিষয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির শাহ বলেন, ইটভাটা মালিকদের আসার পরে নয়, আমার নির্দেশেই পানি দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। আসলে গাড়িতে ওঠার সময় তাদের সাথে পরিচয় হয়েছে। মূলত আজ ইটভাটা মালিক সমিতির পিকনিক চলছে। তাই তাদের পিকনিকের দাওয়াত দেওয়ার জন্যই এসেছিলে।
উল্লখ্য, গতকাল শুক্রবার এনটিভিতে সংবাদ প্রচারিত হয়।