২১ কোটি টাকা আত্মসাৎ : সাইমেক্সের এমডি ও তার স্ত্রী কারাগারে
ভুয়া এলসির মধ্যেমে ঢাকা ব্যাংকের ২১ কোটি টাকার অধিক আত্মসাতের মামলায় সাইমেক্স লেদার প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তালহা শাহরিয়ার আইয়ুব (টিএস আইয়ুব) ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক তানিয়া রহমানের জামিন বাতিল করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা ব্যাংকের আইন কর্মকর্তা আইনজীবী সাদিয়া আফরিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আসামি পক্ষে জামিন শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী শাহিনুর রহমান। অপরদিকে ব্যাংকের পক্ষে সময়ের আবেদনের বিরোধিতা আইনজীবী আনোয়ার জাহিদ ভূঁইয়া। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আসামিদের সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
এর আগে ২০১৯ সালের ২১ মার্চ টি এস আইয়ুব ও তানিয়া রহমান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিসাট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। সিএমএম আদালতের ওই জামিন আদেশ বাতিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা দায়ের করেন। রিভিশন মামলার শুনানি শেষে আসামিদের জামিন বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে আসামিরা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিন প্রাপ্ত হন।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি টিএস আইয়ুব ও তানিয়া রহমান ঢাকা ব্যাংকের ধানমণ্ডি মডেল শাখায় একটি হিসাব খুলে তিনজন বিদেশি বায়ারের নামে ১৯টি এলসি দাখিল করেন। এরপর অপর আসামিদের যোগসাজসে ভুয়া বিল অব এক্সর্পোট, বিল অব লেডিংসহ পণ্য শিপমেন্ট রেকর্ডপত্র তৈরি করে ৫৭ লাখ ৪৪ হাজার ২৫ ডলারের ২৬টি এক্সর্পোট বিল ২০১৭ সালের ৫ জুলাই থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটিতে দাখিল করেন। ব্যাংক কর্মকর্তারা সঠিকভাবে যাচাই না করেই ১৭টি বিল ক্রয়ের অনুমতি দিয়ে টি এস আইয়ুব ও তানিয়া রহমানের হিসাবে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯৮ হাজার ১২৬ টাকা ট্রান্সফার করেন। ওই ১৭টি বিলের মধ্যে চারটি বাবদ পাঁচ কোটি ৬১ লাখ ছয় হাজার ৭০৮ টাকা ৫০ পয়সা ব্যাংকে জমা হলেও ১৪টি বিলের ২১ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৪১৭ টাকা ৫০ পয়সা আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে আত্মসাৎ করেন। এ অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় সাইমেক্স লেদার প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তালহা শাহরিয়ার আইয়ুব (টি এস আইয়ুব) ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক তানিয়া রহমানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন।