আনার হত্যায় শিমুলের স্বীকারোক্তি
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশে অপহরণের মামলার আসামি শিমুল ভুইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ বুধবার (৫ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আসামি এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপরে তাঁকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মো. জালাল এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়ে বলেন, আজ আসামি শিমুল ভুইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাইলে আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) মাহফুজুর রহমান।
জিআরও আরও বলেন, গত ৩ জুন সন্ধ্যায় আসামি শিলাস্তি রহমান ও গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুন) তানভীর ভূইঁয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, এই মামলায় শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইঁয়া ওরফে আমানুল্লাহ সাঈদ, তানভীর ভূইঁয়া ও শিলাস্তি রহমান প্রথম দফায় আট দিনের রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে ছিলেন। গত ১২ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজীমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহার থেকে জানা গেছে, মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজীম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে তার কথা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইলফোনে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই। গত ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউ টাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেবো। এছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।
আরও জানা গেছে, বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনও সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বরানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছে।