কাশিমপুর কারাগারের কর্মচারির লাশ মিলল মানিকগঞ্জে
গাজীপুর জেলার কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের অফিস সহকারী মো. শহিদুল ইসলাম খানের লাশ পাওয়া গেল ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের জাগীর সেতুর নিচে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা হত্যা করে লাশ সেতুর উপর থেকে নিচে ফেলে দিয়েছে। আজ সোমবার (১৭ জুন) সকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহত মো. শহিদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ জেলার ভাজনদাসগাতী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তার দুই মেয়ে ও স্ত্রী মানিকগঞ্জের গঙ্গাধরপট্টি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তিনি দীর্ঘদিন মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে কর্মরত ছিলেন। দেড় বছর আগে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে মানিকগঞ্জের ভাড়াবাসায় রেখে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর কারাগারে চাকরি করছিলেন।
নিহতের মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহিয়া মালিহা জানান, তারা বাবার সাথে কারও কোনো শত্রুতা নেই। ঈদের ছুটিতে গতরাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা বাবা মানিকগঞ্জের উদ্দেশে গাজীপুর থেকে রওনা দেন। রাত ১১টার দিকে মুঠোফোনে তার সাথে কথা হয়। ওই সময় তার বাবা জানান, তিনি বাসে করে মানিকগঞ্জ আসছেন। এর পর রাত ১২টার পর থেকে বাবার মোবাইলফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে বাবা বাড়ি ফিরে না আসায় আজ সকালে মানিকগঞ্জ সদর থানায় বিষয়টি জানানো হয়। এসময় পুলিশ জানান, জাগীর সেতুর নিচে একটি লাশ পাওয়া গেছে। খবরটি শোনার পর তার মা শামছুন্নাহার ও ছোট বোন মায়শা ফারহানা জেবাকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই লাশটি তার বাবার।
মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিল উদ্দিন জানায়, গাজীপুর জেলার কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে অফিস সহকারী মো. শহিদুল ইসলাম নিখোঁজের ব্যাপারে তার স্ত্রী শামছুন্নাহার একটি জিডি করতে সকালে থানায় আসেন। এসময় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে একটি কল আসে জাগীর সেতুর নিচে একটি লাশ পাওয়া গেছে। তখন মো. শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর স্ত্রী শামছুন্নাহার লাশটি তাঁর স্বামীর বলে নিশ্চিত করেন।
ওসি আরও জানান, রাতে যে কোনো সময় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা শহিদুল ইসলামকে হত্যা করে সেতুর উপর থেকে নিচে ফেলে দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের চোখ ও মুখে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের মেয়ে মাহিয়া মালিহা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।