অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নায়ক শান্ত খানের বিরুদ্ধে মামলা
তিন কোটি ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকাই সিনেমার নায়ক শান্ত খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (৩ জুলাই) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকার। মামলায় দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২)(ক) ও ২৭(১) ধারায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা গেছে, শান্ত খানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিকানা অর্জনের অভিযোগে ২০২২ সাল থেকে অনুসন্ধান করছে দুদক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি দুদক থেকে তার নামে ইস্যুকৃত মূল সম্পদ বিবরণী ফরম ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ গ্রহণ করলেও আদেশ মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী কমিশনে দাখিল করেননি। নিজ নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত তিন কোটি ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে আসামির নামে ১৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্যাদি পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ২০১৮ থেকে ২০১৯ করবর্ষ থেকে ২০২২ থেকে ২০২৩ করবর্ষ পর্যন্ত তার পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ১৯ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা। শান্তর পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ১৬ কোটি আট লাখ ৫২ হাজার টাকা।
অন্যদিকে, অর্জিত সম্পদের বিপরীতে অনুসন্ধানের সময় তার ১২ কোটি ৮৩ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা আয়ের উৎসের তথ্যাদি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আসামি শান্ত খানের আয় অপেক্ষা অতিরিক্ত সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা, যা তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ মৰ্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া যায়।
চলচ্চিত্রে শান্তর অভিষেক ২০১৯ সালে। ২০২১ সালে তার অভিনীত ‘প্রেম চোর’, ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াঁ ভাই’ নামে দুটি সিনেমা মুক্তি পায়। এ ছাড়া তিনি ‘বুবুজান’ ও ‘গ্যাংস্টার’ নামে আরও দুই সিনেমায় অভিনয় করেছেন। শান্ত খান চাঁদপুরের কথিত বালুখেকো চেয়ারম্যান ও শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানের ছেলে।