আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্রীড়াঙ্গনে দাপট ছিল যাদের
মাসব্যাপী বিক্ষোভ, রক্তক্ষয়ের পর ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আপাতত ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। সঙ্গে আছেন ছোট বোন শেখ রেহানাও। তার বিদায়ের পরই উধাও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ব্যতিক্রম নয় ক্রীড়াঙ্গনও। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক শেখ হাসিনার শাসনামলে ক্রীড়াঙ্গনে দাপট ছিল যাদের।
১.নাজমুল হাসান পাপন : সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংবাদ নির্বাচনের পর ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। এর আগে গত এক যুগ থেকে আছেন বিসিবি সভাপতির দায়িত্বে। তবে, হুট করেই সরকার পরিবর্তনের কারণে দায়িত্ব হারিয়েছেন তিনিও। যাকে বলা হতো ক্রীড়াঙ্গনের অলিখিত অভিভাবক।
২.শফিউল ইসলাম নাদেল: বিসিবির এই পরিচালক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন থেকে বিজয়ী হন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন নাদেল। তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি ছিলেন।
৩.ইসমাইল হায়দার মল্লিক: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের আস্থাভাজন। যার ফলে বিসিবিতে বেশ দাপট ছিল তার।
৪.কাজী সালাউদ্দিন: শেখ হাসিনার বিদায়ের পরই সমর্থকদের অনেকে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগ চেয়েছেন। এর অবশ্য কারণও রয়েছে। তার নেতৃত্বে বাফুফেতে অসংখ্য দুর্নীতি ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের দেখা মিলেছে। দেশের কিংবদন্তি এই ফুটবলারের কাছ থেকে প্রত্যাশার আলোক বর্তিকা ফেরানোর আশা ছিল। তবে ফুটবলাঙ্গনের দীর্ঘ এই যাত্রায় বারবার অসঙ্গতিপূর্ণ কথা বলেছেন তিনি, ভেঙ্গেছেন প্রতিশ্রুতিও। প্রায় ১৬ বছর ধরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
৫.সালাম মুর্শেদী : বাফুফের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদী বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর আরও দুই মেয়াদে ছিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। ক্রীড়াঙ্গনে বেশ দাপট ছিল তার।
৬.নাইমুর রহমান দুর্জয় : সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবি পরিচালক নাইমুর রহমান দুর্জয় আওয়ামী লিগের সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো মানিকগঞ্জ-১ আসনে বিজয়ী হন তিনি। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। পরপর তিনবার বিসিবির পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন। ২০২০ সালে তার বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভন দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।