হাসিনার স্যুটকেসে কী ছিল?
একদিন থামতে হয়। সেই থামা কারও জন্য সুখকর, কারও তিক্ত। থামার পদ্ধতিটাও হয় নানারকম। কখনও তা হয়ে যায় কল্পনাতীত। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সাক্ষী হয়েছেন এমন এক তিক্ততার। যা তিনি ভাবেননি। না ভাবলেও, নিজের ভুল কিংবা অদূরদর্শীতায় ঘটেছে এই লঙ্কাকাণ্ড।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর বলা হতো, শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের প্রতীক। কিন্তু, ২০২৪ সালের টানা কয়েক সপ্তাহের ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভের মুখে তার পতন হয়। ৪৫ মিনিটের নোটিশে দেশ ছেড়ে পালাতে হয় স্বৈরশাসকের তকমা নিয়ে। অথচ, এর আগে দেশে তার সিদ্ধান্তই ছিল এক প্রকার শেষ কথা। পালানোর আগে শেখ হাসিনার হাতে অল্প এত সময় ছিল, সঙ্গে নিতে পারেননি তেমন কিছুই। নিয়েছেন কেবল দুটি স্যুটকেস।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির বরাত দিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার মুহূর্তে হাসিনা কেবল দুটি স্যুটকেস নিতে পেরেছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা দুটি স্যুটকেসে ভরে কী নিয়ে যান, সেটি প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার।
যদিও, দুটি স্যুটকেসে আহামরি কিছু নিতে পারেননি হাসিনা। স্যুটকেসে পোশাক ও জরুরি কাগজপত্র ছাড়া আর তেমন কিছু ছিল না বলে দাবি আনন্দবাজারের।
মূলত, গোছানোর জন্য বেশি সময় পাননি সাবেক প্রধানমন্ত্রী। বলা চলে, প্রায় শূন্য হাতে দেশ ছাড়েন আলেচিত-সমালোচিত এই স্বৈরশাসক। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ প্রতিকূল থাকায় তড়িঘড়ি হেলিকপ্টারে চড়েন তিনি।
যখন দেশ ছাড়েন হাসিনা, তার কিছুক্ষণ পর থেকে গণভবনে আসতে শুরু করে সাধারণ ছাত্র-জনতা। বিজয় উল্লাসে মাতে গোটা দেশ। স্বাদ নেয় নতুন এক স্বাধীনতার।