চাঁনখারপুলে টার্গেট করে গুলি : এপিবিএন সদস্য সুজন ৩ দিনের রিমান্ডে
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় টার্গেট করে গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্য সুজন হোসেনের ৩ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর)ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহ এই আদেশ দেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের অনুমতি সাপেক্ষে এপিবিএন-১৩ উত্তরা পূর্ব শাখার কনস্টেবল পদমর্যাদার ওই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। সেইদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত আজ ১৭ সেপ্টেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এরপরে আজ সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কারাগার থেকে আসামি সুজন হোসেনকে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখারপুল এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেদিন শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরও চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায় পুলিশ। এতে মারা যান বেশ কয়েকজন। এ সময় তৎকালীন রমনা জোনের অতিরিক্ত-উপ পুলিশ কমিশনার আখতার হোসেনকে পাশে দাঁড়িয়ে থেকে নির্দেশ দিতে দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই এলাকার মানুষকে নিশানা করে গুলি করছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। এর মধ্যে পরিষ্কার একটি ফুটেজে এপিবিএন-১৩ সদস্য কনস্টেবল সুজনকে দেখা যায়।
নথি থেকে আরও জানা গেছে, চানখারপুলে গুলির ঘটনায় গত ৫ আগস্ট মোহাম্মদ ইসমামুল হক নামে একজন নিহত হন। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আরও অনেককে অজ্ঞাত দেখিয়ে গত ২৫ আগস্ট নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ মহিবুল হক বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।