সাভারে বরখাস্ত এসপি কাফিসহ ৪১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
আশুলিয়ায় ছাত্র জনতার স্তুপ করা লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় বরখাস্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফিসহ ৪১১ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে মো. ইমরান (২২) নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় আজ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আশুলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
পুলিশ জানায়, ইমরান জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার মাহমুদা বেলাল বি এম কারিগরি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অপেক্ষায় ছিলেন।
মামলার বাদী আহত শিক্ষার্থী মো. ইমরানের বাবা জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার তারতাপাড়া গ্রামের কালু শেখের ছেলে বিল্লাল শেখ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক।
মামলায় কারাগারে থাকা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি ছাড়াও আসামির তালিকায় রয়েছেন—ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সাবেক আলোচিত সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ, তার বেয়াই আশুলিয়ার আমিন মডেল টাউন শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ শামীম আহম্মেদ সুমন ভুইয়া প্রমুখ।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজশে অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা, মারপিট ও গুলি বর্ষণ করে গুরুতর জখমসহ হত্যার প্রচেষ্টা ও হুকুম দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার বাদী বিল্লাল শেখ জানান, আশুলিয়ার বাইপাইলে ফুফুর বাড়ি বেড়াতে এসে ৪ আগস্ট বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দেয় ইমন। সেখানে মাথায় গুলিবিদ্ধ হলে প্রথমে নেওয়া হয় নারী ও শিশু হাসপাতালে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে মাথায় অস্ত্র পাচারের পর অবস্থার অবনতি হয়। সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।
মাথায় গুলিবিদ্ধ ইমরান এখন প্রায় মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানান তার বাবা বিল্লাল শেখ। প্রথমে তিনি ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশুলিয়ার আমলি আদালতে মামলা করলে আদালতের নির্দেশে পুলিশ সিআর মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে।