সাভারে পোশাক শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট
সার্ভিস বেনিফিট, ক্ষতিপূরণসহ বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক বাইপাইলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ভোর থেকে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে ঢাকা-আরিচা ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্প পুলিশ আশুলিয়া জোনের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারওয়ার। তিনি বলেন, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে অঙ্গীকার ভঙ্গ করায় শ্রমিকরা পথে নেমেছেন। এটার দায়-কারখানা কারখানা কর্তৃপক্ষের।
উদ্ভূত ও পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করায় পরিবহণ ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে এসেছে।
শ্রমিকরা জানান, গত ২৭ আগস্ট এক নোটিশের মাধ্যমে বার্ডস গ্রুপ লে-অফ ঘোষণা দেওয়া হয়। নোটিশে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে কারখানায় কাজ না থাকায় অব্যাহতভাবে আর্থিক লোকসানের মধ্য দিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধের কথা জানানো হয়।
ওই নোটিশে গ্রুপটির আরএনআর ফ্যাশনস লিমিটেড, বার্ডস গার্মেন্ট লিমিটেড, বার্ডস ফেডরেক্স লিমিটেড এবং বার্ডস এঅ্যান্ডজেড লিমিটেডের সব শাখার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শ্রমিকদের আগস্টের বেতন ১০ সেপ্টেম্বর এবং ৩০ সেপ্টেম্বর সার্ভিস বেনিফিটসহ ক্ষতিপূরণ পরিশোধের ঘোষণা দেওয়া হয়। চুক্তিমতো শ্রমিকদের বেতনের টাকা পরিশোধ করলেও ৩০ সেপ্টেম্বর সার্ভিস বেনিফিটসহ ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার জন্য রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) নতুন করে আরও তিন মাস সময় চেয়ে নোটিশ দিলে বিক্ষুব্ধ হন প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত চার হাজারের অধিক শ্রমিক। গতকাল সোমবার পাওনা আদায়ে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করলে সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকে যান চলাচল।
এদিকে, শিল্পাঞ্চলে শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় সাতটি কারখানা বন্ধ রয়েছে। ‘কাজ নেই মজুরিও নেই’ ভিত্তিতে এসব কারখানার শ্রমিকরা কোনো বেতন-ভাতা পাবেন না। এ ছাড়া সাধারণ ছুটি ঘোষণায় বন্ধ রয়েছে আরও সাতটি পোশাক কারখানা।