পরোটা তৈরির সঠিক নিয়ম-কানুন
পরোটায় কামড় দিলেই তো সুস্বাদু পুরের স্বাদ পাওয়া যাবে। তবেই না পুর ভরা পরোটা! পরোটার উপরটা হবে মুচমুচে। আবার পরোটা মুখে দিলে পুরের স্বাদটাও ভরপুর খাকবে। এমন পরোটা বানাতে গিয়েই অনেকে হিমশিম খেয়ে বসেন। কেউ বলেন, পরোটার ভিতরে পুর ভরে বেলতে গেলেই, তা ফেটে বেরিয়ে যায়। কারও হাতে পরোটার উপরের ভাগ অতিরিক্ত শক্ত হয়ে যায়। আসলে পরোটা বানানোরও কিছু কৌশল রয়েছে। শুধু পুর নয়, পরোটার আটা অথবা ময়দা মাখা, বেলা, পুর ভরার কৌশল, ভাজা এই সমস্ত কিছুর উপরেই স্বাদ নির্ভর করে।
১. কেউ ময়দার পরোটা খান, কেউ আবার আটার। পরোটার স্বাদ অনেকটাই নির্ভর করে আটা অথবা ময়দা মাখার উপরে। সঠিক ময়ান (ময়দা মাখার সময় তাতে যে ঘি মিশানো হয়), পানি ও ময়দা মাখার কৌশল খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরোটার উপরের খোল মুচমুচে করার জন্য ময়ান দিতে হয়। আবার পরোটা যাতে নরম হয় সেজন্য খুব ভালো করে সময় নিয়ে ঠেসে ঠেসে আটা বা ময়দা মাখতে হবে।
২. ময়দা অথবা আটা মেখে সঙ্গে সঙ্গে পরোটা করলে স্বাদ ভালো হবে না। বরং কিছুক্ষণ শুকনো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। তারপর মেখে রাখা ময়দা বা আটা আরও একবার মেখে নিতে হবে। এতে পরোটার স্বাদ ভালো হবে, নরম হবে।
৩. আলু,ফুলকপি কিংবা মাংস হোক, গরম অবস্থায় পুর ভরতে গেলে, তা বেলার সময় ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। পুর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসার পর তা ভরুন।
৪. পুর ভরার কৌশলটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। পুর একেবারে কম হলে পরোটা খেতে ভাল লাগবে না। আবার বেশি করে ভরতে গেলে বেলার সময় পরোটা ফেটে যেতে পারে। আবার মুলা বা পেঁয়াজের পুর ভরতে গেলে, সেগুলো থেকে পানি বেরিয়ে ময়দা বা আটা নরম হয়ে যেতে পারে। তাই পুর এমনভাবে ভরতে হবে, যাতে কম বা বেশি কোনোটাই না হয়। পুর ভরার পর মুখটি ভালভাবে বন্ধ করতে হবে। মুলা বা পেঁয়াজের পুর দিয়ে পরোটা করতে গেলে যতটা সম্ভব হাত দিয়ে চেপে মুলার বা পেঁয়াজের রস কিছুটা বের করে নিলে সমস্যা কমতে পারে।
৫. পরোটা বেলার সময় অতিরিক্ত চাপ দিলেই তা ফেটে যাবে। তাই হালকা চাপ দিয়ে বেলতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে পুরটা যেন পুরো পরোটায় সমানভাবে থাকে।