আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা : হাইকোর্টের রায় ১৫ জুন
গাজীপুরের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ১৫ জুন এ বিষয়ে রায়ের জন্য দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রুনা নাহরীন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মঞ্জু নাজনিন।
আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ কয়েকজন আইনজীবী।
এ বিষয়ে আসামিদের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ২১ জানুয়ারি থেকে দীর্ঘদিন আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষে আজ আদালত রায়ের জন্য ১৫ জুন দিন ধার্য করেছেন।’
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পরদিন তাঁর ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২০০৪ সালের ১০ জুলাই অভিযোগপত্র দায়ের করে পুলিশ।
ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। খালাস দেন দুই আসামিকে। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন, ১৭ জন কারাগারে, বাকি নয়জন পলাতক।
পরে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল এবং ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল গত ২১ জানুয়ারি থেকে শুনানি শুরু হয়।
জানা যায়, ১৯৮৩ ও ১৯৮৮ সালে দুবার পুবাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আহসানউল্লাহ মাস্টার। পরে ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আহসানউল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।