হাতে উল্কি নিয়ে বিপাকে ইরানি অভিনেত্রী আলিদুস্তি
‘দ্য সেলসম্যান’ ছবির সুবাদে কয়েকদিন আগেই কান চলচ্চিত্র উৎসবে দুটি পুরস্কার জিতেছেন ইরানি অভিনেত্রী তারানেহ আলিদুস্তি। তবে এখন তিনি আলোচনায় ভিন্ন কারণে। কান থেকে দেশে ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে এই অভিনেত্রীর হাতে আঁকা ‘উইমেন পাওয়ার (পেশিবহুল নারীবাহু)’ ট্যাটু, যা নারীবাদীদের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। এর পর থেকেই আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
এই অভিনেত্রীর বিরোধিতা করে একজন টুইট করেছেন এভাবে যে ট্যাটুর মাধ্যমে তারানেহ ‘বিদেশি’ মনোভাবের প্রচার করছেন। আবার আলিদুস্তির সমর্থনেও সরব ছিলেন অনেক ভক্ত। এক নারী ভক্ত লিখেন, এখন যখন আমি চিন্তা করি আমি বুঝতে পারি যে অনেক আগে থেকেই আমিও নারীবাদী ছিলাম।
ইরানের ‘নাতালি পোর্টম্যান’ নামে অভিহিত ৩২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর দাবী, তাঁর হাতের এই প্রতীকটি নিছক ‘গর্ভপাতের অধিকার’ এর প্রতি সমর্থন ছাড়া আর কিছুই নয়।
উল্লেখ্য, অস্কার জয়ী ইরানী পরিচালক আসগর ফরহাদির সাম্প্রতিক নির্মাণ ‘দ্য সেলসম্যান’ এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন আলিদুস্তি এবং সিনেমাটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা-চিত্রনাট্য এবং সেরা অভিনেতার পুরস্কার লাভ করে।
এই ব্যাপারে আলিদুস্তির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও টুইটারে তিনি জবাব দিয়েছেন—শান্ত থাকুন, এবং হ্যাঁ, আমি একজন নারীবাদী। এ ছাড়া নারীবাদী এই ট্যাটুর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আলাদা করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে এই প্রতীকটি নারীশক্তিকে প্রকাশ করে। একইসাথে এটি নারীবাদের প্রতীকে পরিণত হয়।
নারীদের জন্য সমান অধিকারের সমর্থন অনেক ইরানি নাগরিকই করেন বটে, তবে সাংবিধানিকভাবে ইরানে নারীবাদের কোনো ভিত্তি নেই। সম্প্রতি ইরানে একটি পার্টি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বেশ কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তিকে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের আদালত একটি সতর্ক বার্তা জারি করা হয়। এতে অভিনেতা-অভিনেত্রী, খেলোয়াড়সহ সকল বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গকে ইসলামিক জীবনধারা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়, অন্যথায় তাদেরকে জনস্মমুখে লজ্জা দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।