অলিম্পিকে প্রথম হার উইলিয়ামসদের
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/08/08/photo-1470650672.jpg)
রিও অলিম্পিকে একের পর এক অঘটন ঘটেই চলেছে টেনিস কোর্টে। প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তারকা নোভাক জোকোভিচকে। প্রথম রাউন্ডে হারের মুখ দেখেছেন উইলিয়ামস বোনেরাও। অলিম্পিকের মেয়েদের দ্বৈত ইভেন্টে এবারই প্রথম হারের স্বাদ পেলেন সেরেনা ও ভেনাস উইলিয়ামস।
এবারের আগে অলিম্পিকে একসঙ্গে খেলতে নেমে একবারও হারের মুখ দেখতে হয়নি সেরেনা ও ভেনাস জুটিকে। তিনটি অলিম্পিকে তাঁরা জিতেছিলেন মেয়েদের দ্বৈত ইভেন্টের স্বর্ণপদক। অন্যদিকে রিও অলিম্পিকের জন্য শেষমুহূর্তে জুটি বেঁধেছিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের লুসি সাফারোভা ও বারবোরা স্টিরকোভা। জিকা ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কারণে অলিম্পিক থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করেছিলেন ক্যারোলিনা পিল্সকোভা। তাঁর জায়গায় এসেছিল স্টিরকোভার নাম। সাফারোভা-স্টিরকোভা জুটিকে এর আগে একসঙ্গে একবারই দেখা গিয়েছিল টেনিস কোর্টে। গত বছর ফেড কাপের সেই ম্যাচেও হারের মুখ দেখেছিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের এই টেনিস তারকারা।
তবে রিও অলিম্পিকের প্রথম ম্যাচেই টেনিসবিশ্বকে চমকে দিয়েছেন সাফারোভা-স্টিরকোভা। ৬-৩, ৬-৪ গেমে হারিয়ে দিয়েছেন উইলিয়ামস বোনদের। মেয়েদের এককেও হারের মুখ দেখেছেন ভেনাস উইলিয়ামস। তাঁর কোচ ম্যারি জো ফার্নান্দেজ দাবি করেছেন যে, কিছুটা অসুস্থ অবস্থাতেই এবারের রিও অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন সাতটি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী ভেনাস। ছোট বোন সেরেনার সামনে অবশ্য এখনো আছে মেয়েদের এককের স্বর্ণপদক জয়ের হাতছানি। প্রথম রাউন্ডে সহজ জয় দিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রেখেছেন সেরেনা।
২০০০ সালে প্রথমবারের মতো মেয়েদের দ্বৈত ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন সেরেনা ও ভেনাস। ২০০৮ ও ২০১২ সালের সর্বশেষ দুটি আসরেও তাঁরা হেসেছিলেন স্বর্ণ জয়ের হাসি। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে মেয়েদের এককের স্বর্ণও জিতেছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। বড় বোন ভেনাস একক ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছিলেন ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিকে।