পেলে-মোহাম্মদ আলীর পাশে থাকবেন বোল্ট?
পেলে আর মোহাম্মদ আলী নিজেদের কীর্তিতে অনন্য, খেলাধুলার ইতিহাসের উজ্জ্বল অধ্যায়। সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদের তালিকায় অবশ্যই থাকবে দুই মহারথীর নাম। উসাইন বোল্টকে কি পেলে-আলীর পাশে রাখা উচিত? প্রশ্নটা কারো মনে উঠতেই পারে এখন। বোল্ট নিজে অবশ্য দুই কিংবদন্তির পাশে নিজেকে রাখছেন না; বরং তিনি অপেক্ষা করছেন অন্যরা তাঁকে রাখে কি না তা দেখার জন্য।
আজ রিও অলিম্পিকে ২০০ মিটারের স্বর্ণ জিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বোল্ট বলেছেন, ‘আমি সব সময় সর্বকালের অন্যতম সেরা হতে চেয়েছি। আলী আর পেলের পাশে থাকতে চেয়েছি। ভবিষ্যতে আপনারা (সাংবাদিকরা) কী লেখেন, তা দেখার অপেক্ষায় থাকব। গণমাধ্যম আমাকে তাঁদের সমপর্যায়ে রাখে কি না, তা দেখার অপেক্ষায় আছি। সারা জীবন ধরে এই মুহূর্তটা দেখার আশায় কঠোর পরিশ্রম করেছি। আশা করি, আপনারা আমাকে খেলাধুলার ইতিহাসের অন্যতম সেরার তালিকায় রাখবেন। আর এটাই তো আমার লক্ষ্য।’
পেলে-আলী না হলেও আরেকজনের সঙ্গে তুলনা এসেই যাচ্ছে অবশ্য। তিনি বোল্টের সমসাময়িক মাইকেল ফেল্পস। ২৩টি স্বর্ণসহ ২৮টি পদকজয়ী ফেল্পস অলিম্পিকের সফলতম ক্রীড়াবিদ। মার্কিন কিংবদন্তি অবশ্য সাঁতারু বলে অনেক বেশি ইভেন্টে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তাই বোল্ট আর ফেল্পসের মধ্যে তুলনার বিপক্ষে অনেকেই।
আগামী রোববার ৩০ বছর পূর্ণ করতে যাওয়া বোল্ট নিজেও এ নিয়ে তুলনা করতে রাজি নন, ‘সাঁতার আর ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড সম্পূর্ণ ভিন্ন ইভেন্ট। তিনি (ফেল্পস) নিজেকে অন্যতম সেরা প্রমাণ করেছেন। তিনি অনেক পদক জিতেছেন, সাঁতারে আধিপত্য বিস্তার করেছেন। আসলে আমরা দুজনে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে সেরা।’
টানা তিন অলিম্পিকে ২০০ মিটার জয়ের হ্যাটট্রিক করেছেন এরই মধ্যে। এবার বোল্টের সামনে আরেকটি অবিস্মরণীয় কীর্তির হাতছানি। আগামীকাল সকালে জ্যামাইকার হয়ে ৪x১০০ মিটার রিলেতেও সাফল্য পেলে ‘ট্রিপল ট্রিপল’, অর্থাৎ টানা তিন অলিম্পিকে স্প্রিন্টের তিনটি স্বর্ণ জয়ের লক্ষ্যও পূরণ হয়ে যাবে।
সেই লড়াইয়ে নামার আগে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ স্প্রিন্টার বলেছেন, ‘সারা পৃথিবীর কাছে প্রমাণ করেছি যে আমিই সেরা। আর সেটাই আমাকে এখানে টেনে এনেছে। আগেই বলেছি, এটাই আমার শেষ অলিম্পিক। আমার আর কিছু প্রমাণ করার নেই। অলিম্পিকে আটটি স্বর্ণ জয় বিরাট ব্যাপার। এটা দুর্দান্ত ঘটনা। শ্রেষ্ঠ হওয়ার জন্য আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমার আর কিছু করার নেই।’