মেহেরপুরে হয়ে গেল সাধু সমাবেশ

লালনের আধ্যাত্মিক তত্ত্ব, দর্শনতত্ত্ব ও মানবধর্ম মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামে লালন অনুসারী ফকির দৌলত শাহ আশ্রমে হয়ে গেল দুই দিনব্যাপী সাধু সমাবেশ।
মানব সেবাই ধর্মের মূলমন্ত্র, মানবসেবার মধ্য দিয়েই আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব বলে মনে করেন লালন অনুসারীরা। আর এ মন্ত্রটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এই আয়োজন বলে জানালেন আয়োজকরা। গুরু কার্যের মধ্য দিয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মেহেরপুরের ফকির দৌলত শাহ আশ্রমে প্রথম তিরোধান দিবসের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন বাউলরা। গানে গানে লালন সাঁইয়ের আদর্শ প্রচার করেন তাঁরা।
বাউল সাধক হৃদয় শাহ এ সাধু সমাবেশের আয়োজন করেন। জাত ধর্ম ভুলে গিয়ে জেলা ছাড়াও পাশের কয়েকটি জেলা থেকে সাধু ও বাউল শিল্পীরা ছুটে আসেন এ মিলনমেলায়। লালন সাঁইয়ের, দর্শনতত্ত্ব, মানবতত্ত্ব এবং আধ্যাত্মিক গানে গানে মেতে ওঠেন শিল্পীরা। দূর-দূরান্ত থেকে অগণিত লালন ভক্ত বাউল শিল্পী জড়ো হয়েছিলেন ফতেপুর গ্রামে ফকির দৌলত শাহ আশ্রমে। জাতি ধর্ম নয়, মানবের মূল মন্ত্র প্রচার করাই ইহজগতের মূল কাজ বলে মনে করেন ফকির লালন শাহ ভক্তরা।
আয়োজকরা জানান, প্রায় ৬০ থেকে ৭০ বছর আগে থেকে ফকির দৌলত শাহ আশ্রমে এই সাধু সঙ্গ হয়ে আসছে। প্রতিবছর এখানে লালন সাঁইয়ের ভক্তদের মিলনমেলা বসে। ফকির লালন সাঁইয়ের দর্শন ও ভাবনা ছড়িয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে স্বার্থক হয়ে উঠবে স্মরণোৎসব, এমনটাই প্রত্যাশা ভক্ত-অনুরাগীদের।