নব্য জিএমবির ‘আধ্যাত্মিক নেতা’ কারাগারে
রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ‘আধ্যাত্মিক নেতা’ আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনালের (সিটিটিসি) পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম আসামি আবুল কাশেমকে দুই দফায় ১২ দিনের রিমান্ড শেষে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২ মার্চ রাত ১১টার দিকে রাজধানীর সেনপাড়া পর্বতা এলাকা থেকে আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। তাঁকে ৩ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করলে প্রথম দফায় ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার সাতদিনের রিমান্ড দেন। পরে আবারও ১২ মার্চ হাজির করা হলে দ্বিতীয় দফায় পাঁচদিনের রিমান্ড দেন আদালত। সেই দুই দফা রিমান্ড শেষে তাঁকে আদালতে হাজির করা হলো।
উপকমিশনার আনিসুর রহমান জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরের জাহাজ বাড়িতে জঙ্গি নিহতের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় কাশেমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তিনি দিনাজপুরের রানীর বন্দর এলাকায় একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, নারায়ণগঞ্জে অভিযানে নিহত গুলশান হামলার অন্যতম হোতা হিসেবে পরিচিত তামিম চৌধুরী ও আবুল কাশেমদের যৌথ প্রয়াসে ২০১৩ সালে বাংলাদেশে নব্য জেএমবির জঙ্গিবাদী কার্যক্রমের সূচনা হয়।
আবুল কাশেম সপরিবারে অনেক আগে থেকেই পুরাতন জেএমবির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি নব্য জেএমবির বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট-সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রমে তাঁর নিজস্ব মনগড়া ধর্মীয় মতবাদ প্রদান করে দলটিকে হিংস্র করে তোলেন বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়। ২০০৯ সালে জেএমবির একাংশের আমির মাওলানা সাইদুর রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি বিদ্রোহী অংশ (নিউ জেএমবির) আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
পুলিশ আরো জানায়, ‘নব্য জেএমবির প্রধান তামিম চৌধুরী, মারজান, হাতকাটা মাহফুজ, উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডার রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীরসহ নব্য জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতা তাঁর অনুরক্ত ছিল। এর আগে গ্রেপ্তারকৃত অনেক জঙ্গি সদস্যের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছিল।’