ট্যানারি জরিমানার শুনানি ৩০ মার্চ
রাজধানীর হাজারীবাগে থাকা ট্যানারিগুলোর ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বকেয়া জরিমানার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৩০ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
আজ সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অপর বিচারপতিরা হলেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এর আগে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে হাজারীবাগে ট্যানারি চালু রাখায় গত বছর ১৫৪ প্রতিষ্ঠানের মালিককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা নির্ধারণ করে দেন আপিল বিভাগ। পরে মালিকরা এ আদেশের রিভিউ চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী। অপরপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
শুনানিতে ফজলে নূর তাপস আদালতকে বলেন, এরই মধ্যে ট্যানারি মালিকদের পক্ষ থেকে পরিবেশের ক্ষতিপূরণ বাবদ এক কোটি ৪৪ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
গত ২ মার্চ হাজারীবাগে থাকা ট্যানারির ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বকেয়া জরিমানা দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ফিনিশড লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন আবেদন করে।
গত ১৯ মার্চ বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, রিভিউ এবং জরিমানা স্থগিতের বিষয়ে একসঙ্গে শুনানি হবে। আগামী ৩০ মার্চ শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
ট্যানারি কারখানা হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তর না করায় গত বছরের ১৮ জুলাই ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। শিল্প সচিবকে এ অর্থ আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল।
এরপর অর্থ আদায়ে ব্যর্থতার কারণে শিল্প সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে মনজিল মোরসেদ।
এর পর গত ২৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট শিল্প সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে তলব করলে তিনি ১৩ ফেব্রুয়ারি হাজির হয়ে ক্ষতিপূরণ আদায়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন। তিনি আদালতকে জানান, ট্যানারিগুলোর বকেয়া জরিমানা দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি ৮৫ লাখ।
ওই দিন মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, শিল্প সচিব সেসব ট্যানারি মালিকের তথ্য দিয়েছেন, সেখানে তিনি দেখিয়েছেন, গত বছরের আগস্টের পর থেকে ১৫৪ কারখানার মালিকের কাছে ক্ষতিপূরণের ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বকেয়া পড়েছে। তিনি বলেন, ‘তখন আমরা এসব ট্যানারির বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছিলাম আদালতের কাছে। অথবা তাদের ব্যক্তিগতভাবে হাজির হতে বলা বা বকেয়া অর্থ দ্রুত পরিশোধ করার নির্দেশনা চেয়েছিলাম।’