হাত-পা বাঁধা ইউপি সদস্যকে মিলল সয়াবিন ক্ষেতে
লক্ষ্মীপুরে গ্রাম পুলিশের এক সদস্যকে মারধর করে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই ইউনিয়নের আরেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই গ্রামের একটি সয়াবিন ক্ষেত থেকে ওই ইউপি সদস্যকে হাত-পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে এলাকাবাসী।
আহত নুরুল আমিন (৪২) তেওয়ারীগঞ্জ ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও চরমনসা গ্রামের হোসেন আহম্মদের ছেলে। গ্রামপুলিশ মো. ফারুক (৩৫) একই গ্রামের সুলতান চৌকিদারের ছেলে।
আহত গ্রামপুলিশ ফারুক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় তিন চোরকে আটকের পর গতকাল রাতে সিরাজগঞ্জ বাজারে সালিশি বৈঠক বসে। বৈঠক থেকে পাশের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শাহজাহান লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়ে তাঁদের নিয়ে যান। এ সময় আমাকে মারধর করে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল আমিনকে তুলে নিয়ে যায়। ওই চোরের মধ্যে বেলাল নামের একজন শাহজাহানের ভাগ্নে।’
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান জানান, তাঁর আট বছর বয়সী ভাগ্নে বেলালকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সালিশ বৈঠক করেন ইউপি সদস্য নুরুল আমিন। এ সময় তাঁর ভগ্নিপতি ও বোনকে ঘটনাস্থলে অপমান করা হলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। গ্রামপুলিশকে মারধর ও ইউপি সদস্যকে তুলে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
তেওয়ারীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ওমর হোসেন ভুলু বলেন, ‘আমি ঢাকায় রয়েছি। দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাটি আমি শুনেছি। ঢাকা থেকে ফিরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’