পুরান ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আল্লামা শফীর
হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বিশেষায়িত হেলিকপ্টার অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাঁকে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আজগর আলী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সরওয়ারে আলম এবং নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নূরুল হুদার তত্ত্বাবধানেই আহমদ শফীর চিকিৎসা চলছে। হেফাজত আমিরের প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমদ বিষয়টি জানিয়েছেন।
মাওলানা মুনির বলেন, চিকিৎসকরা হাসপাতালে ভিড় না করতে বারবার অনুরোধ করেছেন। কারণ এতে চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। হেফাজত আমিরের শয্যাপাশে তাঁর বড় ছেলে মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ এবং একান্ত সচিব মাওলানা শফিউল আলমসহ নিকটাত্মীয়রা রয়েছেন।
মুনির আহমদ দেশবাসীর কাছে হেফাজত আমিরের রোগমুক্তি ও দীর্ঘ হায়াতের জন্য বিশেষ দোয়া কামনা করেছেন।
চট্টগ্রাম মহানগরীর সিএসসিআর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আহমদ শফী। জানা গেছে, শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করায় আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে গত ১৮ মে বৃহস্পতিবার বেসরকারি হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়। এখানে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. গোফরানুল হক, নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. হাসানুজ্জামান এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ইবরাহীম চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে হেফাজত আমিরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। হেফাজত আমিরের রক্তচাপ বারবার কমে যাওয়ায় এবং ফুসফুসে পানি দেখা যাওয়ায় ২১ মে থেকে তাঁকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাঁর শরীরে পেসমেকার স্থাপন করা হয়। এতে রক্তচাপ স্বাভাবিক ও ফুসফুসের পানি সরে গেলেও শারীরিক দুর্বলতা স্বাভাবিক হচ্ছিল না। গত ১ জুন হেফাজত আমিরকে আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে নেওয়ার তিনদিনের মাথায় আবার ফুসফুসে পানি জমে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। আবার তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সিএসসিআর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২১ মে থেকে আল্লামা শাহ আহমদ শফী মুখে খাবার নিতে পারছেন না। তাঁকে নলের মাধ্যমে তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে।