লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের দুইগ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৪
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ চারজন আহত হয়েছে। আহত গুলিবিদ্ধ দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে রামগঞ্জের ভোলাকোট ইউনিয়নের আথাকরা বাজারে উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিক ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মহিনের সমর্থকদের মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কবির হোসেন (৪৫), এমরান হোসেন (৩৫) ও আলম হোসেনসহ (৩৫) চারজন আহত হন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ কবির ও এমরানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ কবির হোসেন একই ইউনিয়নের মুক্তারপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে, এমরান হোসেন দেবনগর গ্রামের মো. হোসেনের ছেলে ও আলম হোসেন বদলকোট গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে।
যুবলীগ নেতা মহিন জানান, সন্ধ্যায় তার বালুবাহী পিকআপ বিষ্ণুপুর যাওয়ার পথে গতিরোধ করে ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদের লোকজন। এ সময় তার সমর্থিত যুবলীগ নেতা ইলিয়াছ, নোমান হোসেন, খোরশেদ আলমসহ ১০-১২ জন গাড়িচালক কবির হোসেনকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে বাম পায়ে ও মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তিনি থানায় মামলা করতে গেলে খবর পেয়ে তাঁর ভাগিনা আলম হোসেনকে চেয়ারম্যানের লোকজন রাস্তায় আটক করে বেদম মারধর করে।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে মহিনের লোকজন বশির আহম্মেদ সমর্থিত এমরান হোসেনকে আটক করে মারধর করে বুকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিক বলেন, আমি রামগঞ্জ থানায় ওসির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানিয়েছি। বিষয়টি জানানোর পর তিনি পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তোতা মিয়া বলেন, 'আমি খবর পেয়ে দ্রুত অতিরিক্ত পুলিশসহ ঘটনাস্থেল গিয়েছি।' দুজন গুলিবিদ্ধসহ চারজন আহত হওয়ার বিষয়টিরও সত্যতা নিশ্চিত করেন তিনি।