‘আর হত্যার রাজনীতি হবে না’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল বলেছেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে না গিয়ে এক বছর পর হঠাৎ আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের নামে পেট্রলবোমা মেরে তিনশ থেকে চারশ লোক হত্যা করা হয়েছে। আর হত্যার রাজনীতি হবে না। আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতি বিশ্বাস করে না।
আজ বুধবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শাহজাহান কামাল এসব কথা বলেন। নবনিযুক্ত মন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিতে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগ।
বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মন্ত্রী হয়েছি এটা আমার কোনো ক্রেডিট নয়। প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্মীপুরবাসীকে ভালোবাসেন বলেই মন্ত্রী উপহার দিয়েছেন। যত দিন বেঁচে থাকব লক্ষ্মীপুরের উন্নয়নে কাজ করে যাব।’ তাঁকে মন্ত্রী করায় এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি এই মন্ত্রিত্ব লক্ষ্মীপুরবাসীকে উৎসর্গ করেন।
গত ২ জানুয়ারি মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটি ছিল বিমান ও পর্যটনমন্ত্রীর প্রথম লক্ষ্মীপুর সফর। মন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে লক্ষ্মীপুর শহরকে বর্ণিলভাবে সাজানো হয়। নেতা-কর্মীদের মধ্যে ছিল উৎসবের আমেজ। ঢাকা থেকে নোয়াখালীর প্রবশেদ্বার ও লক্ষ্মীপুরের পথে পথে নির্মিত হয় অসংখ্য তোরণ। দুপুরের মধ্যেই সংবর্ধনাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
অনুষ্ঠানে শাহজাহান কামাল বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশ এগিয়ে যায়।
মন্ত্রী বলেন, নয় মাসে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমার মন্ত্রীত্বের মেয়াদ আছে নয় মাস। এই অল্প সময়ে সবার সহযোগিতা পেলে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারব। জেলার প্রত্যেক উপজেলায় যাব। সবার পরামর্শ নিয়ে লক্ষ্মীপুরকে এগিয়ে নিতে কাজ করব। তাই সবার সহযোগিতা চাই। আমার বিশ্বাস সবাই পাশে থাকবেন।
মন্ত্রিত্ব লক্ষ্মীপুরবাসীকে উৎসর্গ করে শাহজাহান কামাল বলেন, ঢাকা-লক্ষ্মীপুর রুটে লঞ্চ চালুকরণ, লক্ষ্মীপুর-ফেনী সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, ফেনী-লক্ষ্মীপুর রেললাইন স্থাপন, আলেকজান্ডার রিভারবিচে পর্যটন মোটেলসহ অবকাঠামো নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূর উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য লায়ন এম এ আউয়াল, লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নোমান, লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আবু তাহের, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক উপকমিটির সহসম্পাদক এম এ মমিন পাটওয়ারী, জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু।
এ সময় বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রী শাহজাহান কামালের সহধর্মিণী ফেরদৌসী কামাল, আওয়ামী লীগ নেতা ও সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ হাসেম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এমআর মাসুদ, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাসেল মাহমুদ মান্না, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম ভুলু, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান, জেলা পরিষদের সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন লিকা, মাহবুবুল হক মাহবুব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল, সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইমতিয়াজ, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক হিজবুল বাহার রানা প্রমুখ।