মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে এবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মানহানির একটি মামলায় আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। সুনামগঞ্জের আমলগ্রহণকারী বিচারিক হাকিম আদালতের (সদর) বিচারক দেলোয়ার হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মানহানির অভিযোগে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলাটি করেন জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হক কিরণ। পুলিশ অভিযোগ তদন্ত শেষে আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করে। পরে আদালত দণ্ডবিধির ৫০০ ও ৫০১ ধারার অপরাধ আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। আজ বৃহস্পতিবার মামলার ধার্য তারিখ ছিল। কিন্তু মাহমুদুর রহমান হাজির হননি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়।
মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী মো. আবদুল হক জানান, মাহমুদুর রহমান একই প্রকৃতির একটি মামলায় কুষ্টিয়ার আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে সেখানে গত ২২ জুলাই দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হন। তিনি বর্তমানে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাপাতালে ভর্তি আছেন। আমরা আদালতে তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজ উপস্থাপন করে অ্যাডভোকেট হাজিরা নিয়ে বিষয়টি মুলতবি রাখার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করে মাহমুদুর রহমানে বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ব্রিটেনের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকীকে নিয়ে কটূক্তি করে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে কুষ্টিয়ায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। এ মামলায় গত ২২ জুলাই রোববার জামিন নিতে গিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে হামলার শিকার হন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। হামলায় তাঁর মাথা ও মুখ জখম হয়। এ ছাড়া তাঁকে বহনকারী গাড়িটি ভেঙে দেয় হামলাকারীরা। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আদালত চত্বর ছাড়েন মাহমুদুর রহমান। এরপর উড়োজাহাজে করে ঢাকায় এসে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।