প্রধানমন্ত্রীর তহবিল নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে টিআইবি
প্রধানমস্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সংগৃহীত অর্থ সম্পর্কে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
গতকাল মঙ্গলবার ‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন বাস্তবায়নে গৃহীত পদক্ষেপ : গত এক বছরের অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীষর্ক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। আজ বুধবার শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক টিআইবির প্রতিবেদনকে আংশিক প্রত্যাখ্যান করেন।
তারপরই টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক বিবৃতিতে প্রতিবেদন সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন।
টিআইবির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান
রাজধানীর প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ‘টিআইবির যে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১২৭ কোটি টাকা জমা হয়েছিল এবং সেখানে ১০৮ কোটি টাকা অব্যবহৃত পড়ে আছে, সে প্রতিবেদন সঠিক নয়। রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পৃথক কোনো তহবিল নেই।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু টিআইবি দাবি করেছে ১৯ কোটি টাকা।
বিভিন্ন দুর্যোগের সময় ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থসহায়তা করার কাজে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, ‘সরকার, মালিকপক্ষ, বায়ার এবং আইএলও [আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা] ট্রাস্ট ফান্ডের উদ্যোগে যে তহবিল গঠিত হয়েছে, তা থেকে এখন পর্যন্ত ১৮৫ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও পক্ষকে সাহায্য দেওয়া হয়েছে।’
টিআইবির অবস্থান ব্যাখ্যা
এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটা সত্য যে রানা প্লাজা নামে প্রধানমন্ত্রীর কোনো বিশেষ ত্রাণ তহবিল নেই। টিআইবির প্রতিবেদনেও এরূপ কোনো কথা বলা হয়নি। টিআইবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, রানা প্লাজা দুর্ঘটনা পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১২৭ কোটি টাকা সংগৃহীত হলেও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ব্যয় হয়েছে মাত্র ১৯ কোটি টাকা। প্রকৃত অর্থে ১২৭ কোটি টাকাই ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাপ্য।’
‘যার তথ্য সূত্র জাতীয় সংসদে প্রদত্ত কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্য। ২০১৩ সালের ১৪ জুলাই সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংসদকে জানান, সাভার ট্র্যাজেডিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ত্রাণ হিসেবে এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে জমা দেওয়া অর্থের পরিমাণ ১২৭ কোটি ৬৭ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪৯ টাকা, যা পরের দিন (১৫ জুলাই) বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়।’ বিবৃতিতে যোগ করেন টিআইবির নির্বাহী।