শাড়ি হলো সেনসুয়াস এবং মার্জিত : বিদ্যা বালান
‘শাড়ি পরে কী করতে বলবেন আমাকে? যা বলবেন, তা-ই করে দেখিয়ে দেবো। আমি শাড়ি পরে রোমান্স করতে পারি, শাড়ি পরে দৌড়াতেও পারি। শাড়ি পরে ফাইটও করতে পারি। আবার শাড়ি পরে নাচতেও পারি।’ শাড়িকে ঘিরে এভাবেই নিজের ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেন বলিউড সুন্দরী বিদ্যা বালান। বলিউডের অন্যতম এই অভিনেত্রীর এক নম্বর পছন্দের পোশাক হলো শাড়ি। শাড়িতেই মন মজেছে বিদ্যা বালানের। বিদ্যা মনে করেন, ‘অন্য আর দশটা পোশাক শাড়ির মতো নয়। অন্য পোশাকের নিজস্ব স্টাইল বা নিজস্ব ঘরানা থাকলেও শাড়ি হলো সেনসুয়াস এবং মার্জিত, যা নারীকে অন্য এক সৌন্দর্যের মাত্রা যোগ করে।’
বলিউডের বুকে শাড়িকে জনপ্রিয় করার পেছনে বিদ্যার ভূমিকার কথা কারো অজানা নয়। শাড়ির জনপ্রিয়তাও এই অভিনেত্রীর দৌলতে বলিউডে অন্য মাত্রা পেয়েছে। একসময় বলিউডে বিদ্যার ড্রেসিং সেন্স নিয়ে অনেকেই ব্যঙ্গ করতেন। বিদ্যার পোশাক-আশাকের জন্যই তাঁর সৌন্দর্য খুলত না বলেই মনে করতেন অনেকে। তার পর সেসব ব্যঙ্গকারীর মুখের ওপর জবাব দেওয়ার জন্য বিদ্যা বেছে নেন শাড়িকে। আর এই শাড়ি পরার পর থেকেই বলা যায়, বলিউডের মাটিতে ভাগ্য ঘুরতে আরম্ভ করে বিদ্যার। শাড়িতেই রূপের জাদু দেখাতে শুরু করেন তিনি। শাড়ি পরা বিদ্যার রূপে সমালোচক বা নিন্দুকরা রীতিমতো অবাক হয়ে যান। যাঁরা একসময় বিদ্যার ড্রেসিং সেন্স নিয়ে বিদ্রূপ করতেন, তাঁরাই শাড়ি পরা বিদ্যাকে দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন। শাড়ির সঙ্গে নিজের স্টাইলকে মিশিয়ে বিদ্যা বালান অনায়াসে বলিউড সুন্দরীদের তালিকায় নিজের জায়গা পাকা করে নেন। শাড়ি পরেই একাধিক জনপ্রিয় ছবিতে নারীকেন্দ্রিক চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন বিদ্যা। বিদ্যা মনে করেন, সিনেমা হলো বাস্তব জীবনের প্রতিফলন। তাই বাস্তবে যে পোশাকে যাকে মানায়, সেই পোশাকে যদি সিনেমায় সে অভিনয় করার সুযোগ পায়, তাহলে তা সফল হবেই।