ফরিদপুরে আলোচিত মানি লন্ডারিং মামলায় সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
ফরিদপুরে বহুল আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলায় ফরিদপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জলিল শেখকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের দুধবাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। একই মামলায় তাঁর ছোট ভাই ব্যবসায়ী নেতা সিদ্দিকুর রহমান শেখ পলাতক রয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত জলিল শেখ আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বর্তমান ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং ছাড়াও একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদ আলম বলেন, ‘ঢাকার সিআইডির করা দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় ফরিদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর জলিল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের পরেই জেলাহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলটি যেহেতু ঢাকায় সে কারণে অতি দ্রুত তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হবে।’
উল্লেখ্য, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তাঁর ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে আটক করা হয় গত ৭ জুন রাতে। এরপর তাদের তথ্যর ভিতিতে ঢাকার কাফরুল থানায় গত ২৬ জুন দুই ভাইসহ আরো বেশ কয়েকজনের নামে মামলা করে সিআইডি। গত ২৮ জুন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হলে সিআইডি ফরিদপুরে অনুসন্ধানে এসে বিষয়টির সত্যতা পান।
এরপর একে একে আটক করা হয় শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি খন্দকার নাজমুল হাসান লেভী, জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি নিশাদ মাহমুদ শামীম, শ্রমিক লীগ নেতা বিল্লাল হোসেন, যুবলীগ নেতা আসিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজনকে।
এ তালিকায় আরো রয়েছেন এপিএস ফুয়াদ, ব্যবসায়ী নেতা সিদ্দিকুর রহমান শেখ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ফাইন, বরকতের শ্বশুর পান্নু হাওলাদার, চাচাশ্বশুর সেলিম হাওলাদার, জামাল, আজমসহ বেশ কিছু রাঘব বোয়াল।