পূজাতে ঘুমিয়ে সময় নষ্ট করতে রাজি নন কোয়েল
জমে উঠেছে দুর্গাপূজার সপ্তমী। কলকাতায় বনেদী বাড়ির দুর্গাপূজার মধ্যে মল্লিকবাড়ির পূজা অন্যতম। এই মল্লিকবাড়ির দুর্গাপূজা এবারে ৯০ বছরে পা রাখল। আর কলকাতার এই মল্লিকবাড়ির সদস্য হলেন টালিউডের অন্যতম অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক ও কোয়েল মল্লিক।
সপ্তমীর সকালে একেবারে খোশ মেজাজে কোয়েল এসে ধরা দিলেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। কমলা রঙের শাড়িতে বাবা রঞ্জিত মল্লিকের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, ওরে বাবা, আর বলবেন না, সপ্তমীর সকাল থেকে না খেয়েদেয়ে একেবারে নেতিয়ে পড়েছিলাম। শেষপর্যন্ত সপ্তমী পূজার অঞ্জলি দিয়ে যা পেয়েছি তাই খেয়ে-দেয়ে তবে শান্ত হয়েছি। নারকেল নাড়ু, লুচি, আলুভাজা, পটলভাজা, বেগুনভাজা সব খেয়ে নিয়েছি। আর পূজার সময় লুচি থেকে টপটপ করে তেল না পড়তে থাকলে সেই লুচি খেয়ে মজা হয় না। একসঙ্গে গড়গড় করে এতগুলো কথা বলে চিরাচরিত মিষ্টি হাসিতে ভেসে গেলেন কোয়েল। তিনি আরো বললেন, পূজার সময় তো বরাবরই আলাদা আনন্দ হয় আমাদের বাড়িতে। মল্লিকবাড়ির ছেলেমেয়েরা সবাই এই পূজাতে একসাথে হয় এই সময়ে। এটা বরাবরই হয়ে আসছে। আর আমি তো ছোটবেলা থেকে শাঁখ বাজাতে ভীষণ ভালোবাসি। তাই পূজাতে শাঁখ তো বাজাবোই। বিশেষ করে শাঁখ বাজানো নিয়ে আমার মায়ের সঙ্গে আমার পূজাতে প্রতিযোগিতা হবেই। আর তা ছাড়া পূজাতে যত রকমের প্রার্থনা আছে সব কিছুতেই শামিল হবো আমি। তবে পূজার কটা দিন মল্লিক বাড়ির নিয়ম মেনে নিরামিষ খাওয়া-দাওয়া একরকম বাধ্যতামূলক। সপ্তমী থেকে শুরু করে অষ্টমী কোনোদিন লুচি, কোনোদিন খিচুড়ি হবেই হবে।
সপ্তমীর সকালে পূজার আনন্দে ডগমগ কোয়েল অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, সারা বছর ধরে এই দিনটার জন্য অপেক্ষায় থাকেন তিনি। এই সময়ে আড্ডা, ঢাকের তালে তালে ধুনচি নাচ, উপোস করে পূজার অঞ্জলি দেওয়া, সন্ধ্যারতি আর রাতজেগে আড্ডা সবকিছুই চলতে থাকবে। পূজাতে মোটেই ঘুমিয়ে সময় নষ্ট করতে রাজি নন কোয়েল। তাই মল্লিকবাড়ি্র পূজাতে সেই ছোটবেলার মতো এবারেও আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন কোয়েল। কোমরে শাড়ি পেঁচিয়ে পূজার তদারকিতে কার্যত চরকি পাকের মতো এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। তবে পূজার খাটাখাটুনিতে ক্লান্তি কিন্ত তাঁর ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারছে না। বছরের কটা দিন বলে কথা। তাই তো সব ক্লান্তিকে হাসিমুখে জয় করে পূজার খুশিতে এখন রীতিমতো মাতোয়ারা টালিউডের নম্বর ওয়ানের দৌড়ে থাকা এই নায়িকা।