বীরাঙ্গনা আরতির পাশে দাঁড়াল উপজেলা প্রশাসন
অভাব অনটনের সংসারে বড় কষ্টে বেঁচে দিন যাপন করছেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বীরাঙ্গনা দেবী আরতি রানী ঘোষ। ছোট ছেলে কৃষ্ণ ঘোষের চায়ের দোকানের আয় ও মুক্তিযোদ্ধার সম্মানি ভাতা দিয়ে কোনমতে জীর্ণশীর্ণ ঘরে বসবাস করছেন তিনি। ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের কাছে খবর আসে করোনাকালীন বীরাঙ্গনা দেবী আরতি রানী ঘোষ কষ্টে আছেন পরিবার পরিজন নিয়ে।
খবর পাওয়ার পর আজ বুধবার দুপুরে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন, ভাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজীব আহমেদসহ উপজেলা প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের নির্দেশে বীরাঙ্গনা দেবী আরতি রানী ঘোষের গ্রামের বাড়ি চান্দ্রা ইউনিয়নের মালিগ্রাম পরিদর্শন করেন। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপহার ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। তিনি এ সময় বলেন, ‘জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পাশে সব সময় থাকবে উপজেলা প্রশাসন।’
জানা গেছে, চার ছেলে ও দুই মেয়ের মা হলেও অভাবের সংসার ছেড়ে দূরে চলে গেছে তাঁর পাঁচ সন্তান। ছোট ছেলে কৃষ্ণ ঘোষের চায়ের দোকানের আয় ও মুক্তিযোদ্ধার সম্মানি ভাতা দিয়ে কোনমতে একটি ঘরে বসবাস করছেন বীরাঙ্গনা দেবী আরতি রানী ঘোষ।