এবার ফিলিস্তিনের পাশে ওজিল-পগবা
সারা বিশ্বে এখন সবচেয়ে বড় আলোচিত ঘটনা ফিলিস্তিনের ওপর ইজরায়েলের হামলার বিষয়টি। করোনার এই সময়ে ইজরায়েলের যুদ্ধং দেহী মনোভাব বাড়ছেই। গাজায় ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
এই ঘটনায় সারা বিশ্বের মুসলমানরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এই তালিকায় যোগ হয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার পল পগবা, উইঙ্গার আমাদ দিয়ালো ও জার্মান ফুটবলার মেসুত ওজিল।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ইংলিশ লিগের ম্যাচে ফুলহামের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সেই ম্যাচ শেষে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়েছেন তাঁরা।
ইন্ডিপেন্ডেন্টের খবরে জানা গেছে, গ্যালারিতে থাকা এক ভক্তের কাছ থেকে ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে মাঠে হেঁটে বেড়ান পগবা।
ঈদের পর এই মুহূর্তে ফিলিস্তিনে বিভীষিকাময় অবস্থা। তাঁদের হয়ে নিজের স্যোশাল মিডিয়ায় ওজিল লিখেছিলেন, ‘সারা বিশ্বের সব মুসলিমদের ঈদ মোবারক। এই পুণ্য মাসে আমাদের সবার রোজা ও দোয়া কবুল হোক। যারা আজ শান্তিপূর্ণ ভাবে উদযাপন করতে পারছেন না, তাঁদের জন্য শুভকামনা।'
এর আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গত শনিবার এফএ কাপে চেলসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল তাঁর দল লেস্টার সিটি।
দলের সাফল্যের দিনে মুসলিম সতীর্থ ফরাসি ডিফেন্ডার ওয়েসলি ফোফানার সঙ্গে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে নিয়ে ম্যাচের পর গোটা ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করেছেন এই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণ।
একজন ফুটবলার হিসেবে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোয় ইংল্যান্ডে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হুসাম জমলট দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে হামজাকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এক টুইট বার্তায় বিষটি প্রকাশও করেছেন তিনি।
চিঠিতে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এফ এ কাপের শিরোপা জয়ের ঐতিহাসিক মুহূর্তে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে তুলে নেন হামজা চৌধুরী ও ওয়েসলে ফোফানাও। ফিলিস্তিন সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে জানাই গভীর কৃতজ্ঞতা। ফিলিস্তিনের পতাকা ফুটবলের অন্যতম শীর্ষ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তুলে ধরে সংগ্রামী জনতার পক্ষ নেওয়ায় ধন্যবাদ জানাই।’