ভারতের কাছে দুই গোলে হার বাংলাদেশের
দীর্ঘ ১৮ বছর আগে ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে ঘরের মাঠে মতিউর মুন্নার গোলে জিতেছিল লাল-সবুজের দল। এই ভারতের বিপক্ষে আর জিততে পারেনি তারা। কাতারে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচেও পারেনি জামাল ভুঁইয়ারা। হেরেছে ২-০ গোলে।
আজ সোমবার কাতারের দোহায় জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ভারতের পক্ষে দুটি গোলই করেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন এই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার। বাঁ-প্রান্ত থেকে পাওয়া একটি বলে চমৎকার হেডে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
ম্যাচের ইনজুরি সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সুনীল ছেত্রী। সতীর্থের বাড়ানো ব্যাকপাসে চমৎকার শটে বল বাংলাদেশ জালে পাঠান তিনি। তাই নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের হার।
অবশ্য ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। তবে বেশিরভাগ সময় ভারতের দখলে ছিল বল। ভারত বেশ কয়েকটি সুযোগও পেয়েছিল, কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায়। বিশেষ করে রিয়াজুল হাসান রকি দারুণ একটি দারুণ সেভ করেন।
ম্যাচে অবশ্য প্রথম সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। অষ্টম মিনিটে রহমত মিয়ার থ্রোয়ে সতীর্থের হেডের পর বক্সে বল পেয়েও পা ছোঁয়াতে পারেননি তারিক। তাই দারুণ সুযোগ নষ্ট হয় বাংলাদেশের।
১৫ এগিয়ে যেত পারত ভারত। ব্রেন্ডন ফের্নান্দেসের থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিলেও মানবির বল জালে জড়াতে পারেননি। বিপদমুক্ত করেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ।
এ ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে একটি পরিবর্তন আনে। সোহেল রানার জায়গায় মাঠে নামেন মানিক হোসেন মোল্লা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে বদলি মাঠে নেমেছিলেন এই মিডফিল্ডার।
বাছাই পর্বে পয়েন্ট তালিকায় খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই বাংলাদেশ। মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপে পয়েন্ট তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে। এর আগে তারা কাতারের কাছে ৫-০, ওমানের কাছে ৪-১, আফগানিস্তানের কাছে ১-০, ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে ফিরতি ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ : আনিসুর রহমান, রহমত মিয়া, তপু বর্মণ, জামাল ভূঁইয়া, মাশুক মিয়া জনি, বিপলু আহমেদ, মতিন মিয়া, কাজী তারিক রায়হান, রিয়াদুল হাসান, মানিক হোসেন মোল্লা ও রাকিব হোসেন।