‘রাজনীতিকে কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্র চলছে’, বরিশালে জনপ্রতিনিধিরা
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগের জনপ্রতিনিধিদের একটি অংশ। এ সময় তারা গত বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে সংঘটিত সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন।
আজ শনিবার বিকেলে একই স্থানে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান বিভাগের পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান। বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে বিকেল ৩টায় প্রথমে সংবাদ সম্মেলন করে বরিশালের ২৬টি পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর। তাদের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন গৌরনদী পৌরসভার মেয়র মো. হারিস।
এ সময় মেয়র মো. হারিস বলেন, ‘বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে তাঁকেই আবার মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কেবল একজন জনপ্রতিনিধিরই সম্মান ক্ষুন্ন হয়নি, বরং পুরো রাজনীতিকে কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে আমরা মনে করি।’
পরে বিকেল ৪টায় সেখানেই সংবাদ সম্মেলন করে বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার ৬৭ জন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান। এ সময় চেয়ারম্যানদের পক্ষে বক্তব্য দেন গৌরনদীর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুন্নাহার মেরী।
চেয়ারম্যান মেরী বলেন, ‘সবার আগে দায়ের হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। তারপর নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো জনপ্রিতিনিধির অসম্মান আমরা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেব না।’
গত বুধবার রাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যানার খোলাকে কেন্দ্র করে ইউএনওর বাসভবনে হামলার অভিযোগ এনে সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর গুলি ছোড়ে আনসার সদস্যেরা। এতে মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহ, প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকনসহ ৩০ জন আহত হন। পরে সিটি করপোরেশনের কর্মী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষুদ্ধ হলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ ও ইউএনও মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছেন। মামলায় ৬০২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।