আসামির হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত
ঝালকাঠিতে ডাকাতির মামলায় সন্দেহভাজন এক আসামিকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। গতকাল শনিবার বিকেলে কাঁঠালিয়া উপজেলার ছোট কৈখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহত রাজাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল হালিম তালুকদার ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. নুরুজ্জামানকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কাঁঠালিয়া থানায় নয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে। পুলিশ রাতেই দুই নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ছোট কৈখালী গ্রামের আবুল কালাম হাওলাদার, তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী মাহফুজা বেগম ও জাহানারা বেগম।
পুলিশ জানায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজাপুরের গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালী গ্রামে মো. ফরিদ খন্দকারের বাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাতরা স্বর্ণালংকার ও টাকার সঙ্গে বাড়িতে পোষা ময়না পাখিটিও নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরের দিন ১৬ সেপ্টেম্বর রাজাপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী। সেই মামলার সূত্রধরে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তের একপর্যায়ে বেড়িয়ে আসে পাশের কাঁঠালিয়া উপজেলা ছোট কৈখালী গ্রামের আবুল কালামের নাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গতকাল শনিবার দুপুরে সাদা পোশাকে আবুল কালামের বাড়িতে যান রাজাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল হালিম তালুকদার ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. নুরুজ্জামান। এ সময় বাড়ির ও আশপাশের অর্ধ শতাধিক লোক পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে খবর পেয়ে বিকেলে রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া থানার পুলিশ গিয়ে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্ত আবুল কালামসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আহত পুলিশ কর্মকর্তাদের চিকিৎসা চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এএসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।