মৌলভীবাজারে বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দমনে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য দমনসহ বাংলাদেশের সমৃদ্ধ বন্যপ্রাণীর অস্তিত্ব বিলীনের জন্য দায়ী সব ধরনের হুমকি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে মৌলভীবাজারে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার জেলার একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় দিনব্যাপী বন্যপ্রাণী ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত অপরাধগুলোর প্রতিবেদনের গুণগত মানোন্নয়ন এবং সঠিক লেখার দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডাব্লিউসিএস বাংলাদেশ ও বন অধিদপ্তর যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।
বন্যপ্রাণী অবৈধ বাণিজ্যের ধরন, তথ্য-উপাত্ত সঠিকভাবে গণমাধ্যমগুলোতে তুলে ধরা সম্পর্কে প্রশিক্ষণে ধারণা দেওয়া হয়।
শুধু তাই নয়, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে সরকারি কর্তৃপক্ষও বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসা বন্ধে উৎসাহী হবেন। এতে বিশ্বব্যাপী বিপদাপন্ন অনেক বন্যপ্রাণী যেমন বাঘ, বনরুই, কচ্ছপ, হাঙর ও শাপলাপাতার বেশ কিছু প্রজাতিকে চিরতরে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আলী আহসান। অনুষ্ঠানে সভপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুর রহমান, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ সালাম।
কর্মশালার প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন ডাব্লিউসিএস বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি ও সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, বন অধিদপ্তরের ড. লস্কর মাকছুদুর রাহমান, লিগ্যাল অ্যাডভাইজার মো. তারিকুল ইসলাম, সিনিয়র অ্যাডভাইজার সামিউল মোহসেনিন।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দমনে একটা বড় চ্যালেঞ্জের জায়গা হলো অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করা। বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সাংবাদিক, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবিদসহ দেশের প্রতিটি নাগরিককে সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে। বন্যপ্রাণী আমাদের সম্পদ। যদি আমরা দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নেই, অচিরেই আমরা এদের চিরতরে হারিয়ে ফেলব।’
বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৪৫ জন প্রতিনিধি এই কর্মশালায় অংশ নেন। পরে বিকেল ৫টায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। ইতোপূর্বে ঢাকা, খুলনা, কক্সবাজার ও রাজশাহী এলাকায় আয়োজিত কর্মশালায় দেশের ১১৪ জন কর্মী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।