কক্সবাজার শ্রমিক লীগের সভাপতির মৃত্যু, বিক্ষোভ-ভাঙচুর
সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম মারা গেছেন। আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে জহিরুল ইসলামের মৃত্যুর খবর কক্সবাজারে নিজ এলাকায় পৌঁছালে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী ও একদল শ্রমিক। তারা কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক অবরোধ শুরু করে। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীরা নৌকা প্রতীকের বেশ কিছু নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করে।
বিক্ষোভকারীরা জানান, শ্রমিক লীগনেতা জহির ও কুদরত উল্লাহকে গুলিবর্ষণকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ চালিয়ে যাবেন। বিকেলে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনির উল গীয়াস জানিয়েছেন, চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জহিরুল ইসলাম আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে মারা গেছেন বলে তাঁর পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ বা মামলা দেয়নি।
গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার শহরের লিংক রোড এলাকায় কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার ও তাঁর ভাই ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান সদস্য ও আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগনেতা কুদরত উল্লাহ সিকদারের অফিসে এসে একদল দুর্বৃত্ত গুলি চালায়। এ সময় তাঁরা নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করে ব্যক্তিগত অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। মোটরবাইকে করে আকস্মিক এসে সরাসরি কুদরত উল্লাহ সিকদার ও জহির উল্লাহ সিকদারকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এতে তাঁরা দুজনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় কুদরত উল্লাহ সিকদারের আরো দুইজন ঘনিষ্ঠ সহকারী গুলিবিদ্ধ ও তাঁর গাড়ির চালক আহত হন। ঘটনার পর পরই আশেপাশের লোকজন আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান এবং জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহতদের চিকিৎসা দেন।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শাহীন আব্দুর রহমান জানান, আহতদের মধ্যে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ও তাঁর ছোট ভাই ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী কুদরত উল্লাহ সিকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে চমেক হাসপাতালে অপর আহত কুদরত উল্লাহ সিকদার চিকিৎসাধীন রয়েছেন।