স্মরণ
চেতনায় নজরুল : কেন ও কীভাবে
‘সবার হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, চেতনাতে নজরুল’ একটি বিখ্যাত বাংলা গান শুরু হয়েছে এভাবেই। কেন হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, এটা বুঝতে মনে হয় না কারো খুব একটা বেগ পেতে হয়। হৃৎপিণ্ড সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন করে থাকে। সেটি যত শক্তিশালী হবে, শরীর ততই সুস্থ-সবল ও কর্মক্ষম হবে। হৃৎপিণ্ড আর হৃদয় এক জিনিস না। হৃদয়ের সঙ্গে অনভূতির যোগ আছে। হৃৎপিণ্ড দেখা যায়, হৃদয় কি দেখা যায়? জন্তুজানোয়ারেরও হৃৎপিণ্ড আছে। হৃদয় থাকাই মানুষের লক্ষণ। রবীন্দ্রনাথ মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার পথে আমাদের এগিয়ে দেন। আর এই এগিয়ে দেওয়াটাকে দীপ্ত, সচল-সবল রাখেন নজরুল। তিনি তো আসলে রবীন্দ্রনাথেরই উত্তরাধিকার। রবীন্দ্রনাথ ‘বাংলা ভাষার ক্ষমতা’কে শীর্ষে নিয়ে যান, আর নজরুল তাতে শক্তি সঞ্চয় করেন। এই ক্ষমতা ও শক্তির ব্যাপারটা বোঝার ভেতর দিয়েই বোধ করি স্পষ্ট ধরা যায় কেন হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ আর চেতনায় নজরুল।
ক্ষমতা একটি সার্বিক ও সামগ্রিক বিষয়, আর শক্তি হলো আলাদা আলাদা করে ভর করে। ক্ষমতা একই সঙ্গে বৌদ্ধিক এবং শারীরিক, কিন্তু শক্তিটা মূলত শারীরিক। রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে দিয়েছেন জেগে ওঠার ক্ষমতা, নজরুল দিয়েছেন এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা ও সাহস। রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টির বিচিত্র ছলনা-জালটিকে সহ্য করেন, নজরুল সেটিকে ছিন্ন করেন, তাঁর মন সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপে, তাঁর রক্ত টগবগ করে হাসে। এই বিষয়গুলো তেমন জটিল কিছু নয়। অথচ আমাদের বোঝার ক্ষেত্র নানা সীমাবদ্ধতা সেটিকে বুঝতে দেয় না।
আমরা আশ্চর্য হয়ে দেখি, বর্তমানের অনেকেই আধুনিকতাবাদের নামে নজরুলকে তো বটেই, রবীন্দ্রনাথকেই কবি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চান না। তখন মনে হয়, জ্ঞানী লোকেরও মূর্খতা থাকে। সবকিছু নিয়ে বিচার করলে চিরকাল বলে যেবিষয়টি আছে, তার পরম্পরা আছে, সে জায়গাটা খেয়াল করা হয় না। আধুনিকতাবাদ অধুনা নিয়েই বেশি ব্যস্ত। এতটাই ব্যস্ত যে আধুনিক ও আধুনিকতার বিষয়গুলোও এর গণ্যতা, মান্যতা পায় না। ফলে আধুনিকবাদীরা রবীন্দ্র-নজরুল-জসীমউদদীনকে সরিয়ে দিতে চান। তাঁদের কবিতার গভীরের কবিতা এঁদের স্পর্শ করে না। এতে করে আসলে এঁরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নক্ষত্রকেও আঙুল দিয়েই আড়াল করা যায়। মুঠি দিয়ে হিমালয়কে আড়ালে ফেলে দেওয়ার কথা নাই বা বললাম।
বাঙালি চেতনার ভেতরে যে সর্ব-ধর্ম ও সংস্কৃতির সমন্বয়বাদী ব্যাপারটা আছে, তার একেবারে শুরুদিকের প্রতিনিধি নজরুল, তিনি বিশ্বাস করতেন মানুষের মধ্যে কোনো ভেদনীদি তো চলতে পারে না, ‘যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম ক্রিশ্চান’ (সাম্যবাদী, সাম্যবাদী)। তিনি দেখান ‘তোমাতে রয়েছে সকল কেতাব সকল কালের জ্ঞান,/সকল শাস্ত্র খুঁজে পাবে সখা খুলে দেখ নিজ প্রাণ।’ (ঐ) বিষয়টি রবীন্দ্রনাথেও সমর্থিত, কিন্তু নজরুল সেটি একেবারে সরাসরি হাজির করেন। বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার দীপ্ত পুরুষ বলতেই নজরুলের কথাই সবার আগে বলতে হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য ঠিক যে সময় রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে বাঙালির সবচেয়ে দরকার ছিল, এর আগেই একজন মৃত্যুবরণ করেন, অন্যজন মূক হয়ে যান। মনে হয় একজনের মৃত্যু ও একজনের মূক হওয়ার ভেতরে দিয়ে বাঙালি তার প্রকৃত মুখরতা হারিয়েছিল। তাকে খণ্ডিত দশা মেনে নিতে হয়েছিল। বলাবাহুল্য ব্রিটিশ শাসনের অবসান ও খণ্ডিত স্বাধীনতা এবং দেশভাগের কারণেই সেটি ঘটেছিল।
এই খণ্ডনের ভেতরেই একটু একটু করে আবার সঞ্চারিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের কবিতা ও গান। অন্যদিকে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখের উদ্যোগে বাঙালি মুসলমান তার প্রকৃত সত্তার কাছে ফিরে এলো। সে বুঝল বাংলাই তার নিজের ভাষা। বঙ্কিম বহু আগেই বলেছিলেন, বাংলা সাহিত্যই বাঙালির ভরসা সেই কথাটি বুঝতে অনেকটা সময় লেগেছে, কারণ সেখানে ছিল বাঙালি ও মুসলমানিত্বের দ্বন্দ্ব। বাঙালির অসম্প্রদায়িক চেতনায় উন্নীত যতদিন না হতে পারেনি, ততদিন বাঙালি তাঁর ভাষা ও সাহিত্যের মর্মদেশের দিকে ফিরে তাকায়নি।
আল মাহমুদের মতো কবি মনে করেন, বঙ্কিম এমন কিছু কাজ করে গেছেন যার কারণে বাঙালি হিন্দু-মুসলমান আর মিলতে পারবে না। এই কথাটি একটি বাস্তবতা আছে, কিন্তু তা পুরোপুরি সত্য নয়। সবাই জানেন সত্য ও বাস্তবতার তফাত। আদর্শবাদ ও বস্তুবাদের দিক থেকেও একে মিলিয়ে নেওয়া যায়। সে তর্ক এখানে নয়। আমরা কেবল বলতে চাই বাঙালি তার চেতনাধারায় ফিরে এলো রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে আর পা মেলাল নজরুলের সঙ্গে। পাকিস্তানি আমলে যদিও রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ ও নজরুলকে খণ্ডিত করে আবারও চক্রান্তকারীরা বাঙালির চেতনাকে নস্যাৎ করতে চেষ্টা করেছে, তাতে বাঙালিকেই তারা শক্তিমান করেছে এবং শেষ পর্যন্ত বাঙালির কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে পগারপার হয়ে গেছে। তারপরও প্রতিশোধ তারা নিতে ছাড়েনি। বাঙালিকে আবারও তার মূল চেতনার জায়গা থেকে সরিয়ে আনতে তারা চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছিল। এবং শেষ পর্যন্ত বাঙালির মুক্তিদাতা রাষ্ট্রের স্থপতিকে তারা হত্য করে এবং আবারও বাঙালিতে পেছন দিকে ঠেলে দেয়। যে ক্ষতি তারা সাধন করেছিল, সেটি পূরণ করা এখনো সম্ভব হয়নি। কেবল তা-ই নয়, এঁরা এমন সব বিভ্রান্তি দুদিক থেকে ছড়িয়েছে, বাঙালিকে তার ভাষা ও চেতনা থেকে সরিয়ে আনতে তারা বাঙালির মূল খুঁটিগুলোকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। এ কথা কবে আমরা বুঝব যে, ভাষা ছাড়া চেতনা নেই।
সেই ভাষা আমাদের যিনি দিলেন, সেই রবীন্দ্রনাথকে অনাধুনিক এবং যিনি আমাদের চেতনাকে শাণিত করছেন সেই নজরুলকে আমাদের কাছে রদ্দি প্রমাণ করতে কেউ কেউ সব সময় মুখিয়ে থাকেন। এঁরা আসলে মানুষের ছদ্মবেশে বিষধর সাপের বংশজাত। এঁদের চিনে নিতে না পারলে আমরা মানবিকতার মূল দিকগুলো সম্পর্কে সব সময়ই বিভ্রান্তিতে ভুগব।
চক্রান্তকারীরা নানাভাবে প্রগতিশীলতার ছন্দবেশে এখনো ক্রিয়াশীল। একদল বাংলাদেশে জাতীয় সংগীত বদলাতে চায়; অন্যদল জাতীয় কবিকে সরিয়ে দিতে চায়, তাঁর প্রতি বাঙালি শ্রদ্ধাভক্তিকে নষ্ট করে দিতে চায়। এঁরা আসলে দুদিক থেকে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়াশীলতাকে উসকে দেওয়ার কাজ করে। মৌলবাদ এখানে আধুনিকবাদের হাতে হাত রাখে। অদ্ভুত এঁদের সখ্য যা আমাদের রীতিমতো আশ্চর্যান্বিত করে।
সবচেয়ে বিস্ময়কার এই যে, খণ্ডিত করে দেখলে যে ভুল হয় রবীন্দ্রনাথের বেলায় সেটি তো আছেই, নজরুলের বেলায়ও কি নেই? বলা হয়, রবীন্দ্রনাথের কোনো মাস্টারপিস নেই। কিন্তু আমরা ‘রক্তকরবী’র কথা ভুলে যাই কেন? এর চেয়ে বড় ‘মার্কসবাদী’ সাহিত্য তথা বামপন্থী সাহিত্যকর্ম আর কী হতে পারে? আমার কি দেখব নজরুলের কোনো মাস্টারপিস আছে কি না? যে বইটি নিয়ে বলা যাবে, এই হলেন নজরুল? এর উত্তরে নেতিবাচকতাই জায়গা নিতে পারে, কিন্তু এটাও খেয়াল করে দেখতে হবে যে, নজরুল তাঁর সৃষ্টি ভেতরে যেগুলি তাঁর শ্রেষ্ঠ হিসাবে গণ্য হতে পারে, সে রকম প্রতিটি কবিতা-গানে-নাটকে-উপন্যাসে- ছোটগল্পে-প্রবন্ধে নিজের কণ্ঠস্বরটি চিনিয়ে দিতে পেরেছেন। নিজস্ব একটি ভাষাভঙ্গি ও বাগভঙ্গি তিনি তৈরি করতে সমর্থ হয়েছিলেন। যে-কবির নিজস্ব ভাষা তৈরি হয় না, তিনি কোনোমতেই সেই স্তরে উঠতে পারেন না, যেখানে প্রকৃত কবিরা তাদের আসন পাতেন।
কেউ কি জোর দিয়ে এ কথা বলতে পারবেন যে, কবি হিসেবে নজরুলের নিজস্ব ভাষা ছিল না? অথচ আধুনিকতাবাদের ধ্বজাধারী কবিদের বেশির ভাগেরই নিজস্ব ভাষাভঙ্গি-বাগভঙ্গি নেই। কোনো একটি সংকলনে তাদের নামগুলো মুছে দিলে মনে হবে সবই যেন একই কবির লেখা কবিতা। রবীন্দ্রনাথ তো বটেই, নজরুলের ক্ষেত্রে কি তা সম্ভব? সম্ভব কি জীবনানন্দের ক্ষেত্রে?
একসময় বামপন্থী লেখক-কবিরা শোর তুলেছিলেন মার্কসবাদ ছাড়া তাঁদের কাছে কোনো আধুনিকতা নেই। আর বাংলা সাহিত্যে মার্কসবাদী চেতনার আদি পুরুষ তো নজরুলই, নাকি? তিনি শাসক ও শোষিতের দ্বন্দ্বগুলো চিহ্নিত করতে চেয়েছেন, বস্তুবাদী চেতনাটি সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করেছেন, ‘মানুষ এনেছে গ্রন্থ; গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো!’(মানুষ, সাম্যবাদী) একথা অবলীলায় বলেছেন। নারীর সমান অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে তাঁর চেয়ে সোচ্চার আর কে ছিলেন? ‘বিশ্বের যা-কিছু মহার সৃষ্টি চিরকল্যাণকর/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর’ বা ‘নর দিল ক্ষুধা, নারী দিল সুধা, সুধায় ক্ষুধায় মিলে/জন্ম লভিছে মহামানবের মহাশিশু তিলে তিলে।’’ (নারী, সাম্যবাদী) কে এত জোর দিয়ে বলেছেন যে, মানুষের কথা ছেড়ে দাও, যত ধ্যানী মুণি ঋষী যোগী/ আত্মা তাঁদের ত্যাগী তপস্বী, দেহ তাঁহাদের ভোগী।’’ (পাপ, সাম্যবাদী) বলেছেন, ‘লক্ষ যুগের মহা তপস্যা কোথায় উবিয়া যায়।/ সুন্দর বসুমতী/ চিরযৌবনা, বেতা ইহার শিব নয়, কামরতি!’’ (পাপ, সাম্যবাদী) এই যে, পৃথিবীর দেবতা শিব নয়, কামরতি বা সেক্স? ফ্রয়েডীয় এই ধারণা ও মার্কসবাদের এই সাম্য যে জায়গা মিলে তা এ কালে লাঁকার মতো লোকজন যা অনেক জেনেবুঝে শনাক্ত করেছেন, নজরুলের মতো সৃষ্টিশীল মানুষ তাঁর সজ্ঞাতেই (ইন্ট্যুশানে) সেটি ধরতে পেরেছিলেন। আর তাঁর সাহিত্যে ও মানসিকতায় আধুনিকতার প্রশ্ন যাঁরা তোলেন, তাঁরা পড়ুন এই কথাগুলো, ‘আমার সাহিত্য-সাধনা বিলাস ছিল না। আমি আমার জন্মক্ষণ থেকে যেন আমার শক্তি বা আমার অস্তিত্বকে, existence-কে খুঁজে ফিরেছি। যখন আমি বালক, তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে আমার কান্না আসত, বুকের মধ্যে বায়ু যেন রুদ্ধ হয়ে আসত। আমার কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলতাম, ‘ঐ আকাশটা যেন ঝুড়ি, আমি যেন পাখির বাচ্চা, আমি অই ঝুড়িচাপা থাকব না, আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।’ তাই ইউনিভার্সিটির দ্বার থেকে ফিরে ইউনিভার্সের দ্বারে হাত পেতে দাঁড়ালাম। জীবনে কোনো দিন কোনো বন্ধনকে স্বীকার করতে পারলাম না।’ (মধুরম, অভিভাষণ)
অস্তিত্বের এই সন্ধান, এই-যে চূড়ান্তভাবে বাধাবন্ধহীন, মুক্তজীবন সাধনা- এ কালের সত্যিকারের আধুনিক লেখকের সঙ্গে নজরুলের তো তেমন কোনো তফাতই থাকে না। নিজের এই সন্ধান তাঁর সাহিত্য সাধনার পেছনে কাজ তো করেছেই, সেই সঙ্গে স্পষ্টত তিনি বলেছেন সমস্ত রকমের হানাহানি বিদ্বেষ দূর করতে তিনি তাঁর কবিতা-গান ও কর্মকে নিয়োজিত করেছিলেন (যদি আর বাঁশি না বাজে, অভিভাষণ)। মানুষের সীমাহীন দারিদ্র্য ও অন্যদিকে সীমাহীন লোভকে রুখে দিতে তিনি তাঁর কলম ও কণ্ঠকে, গানের বাণীকে কাজে লাগাতে চেয়েছেন। মানুষ ও মনুষ্যত্বের জয়গান গাইতে চেয়েছেন। তিনি বাংলার জয়, বাঙালির জয় চেয়েছেন। তাঁর কবিতায় ধ্বনিত হয়েছে বাঙালির শব্দব্রহ্ম- জয়বাংলা। ‘জয় বাঙলার পূর্ণচন্দ্র, জয় জয় আদি-অন্তরীণ/জয় যুগে যুগে আসা সেনাপতি, জয় প্রাণ আদি-অন্তহীন!’(পূর্ণ-অভিনন্দন, ভাঙার গান) ফলে বাঙালির চেতনাতে নজরুলই থাকবেন এতে আমাদের কোনো দ্বিধা নেই।
বঙ্কিম বলেছিলেন, হয় সৌন্দর্য নয় মানবকল্যাণ এই দুই কাজ ছাড়া কলম ধরা একরকম অন্যায়। নজরুল তাঁর সমগ্র জীবন এই সৌন্দর্য ও কল্যাণের জন্যই ব্যয় করে গিয়েছিলেন। তিনি নিজে যা বিশ্বাস করতেন তাই করেছেন, আপনি আচরি অন্যকে দেখাতে চেয়েছেন। অন্য ধর্মের নারীর সঙ্গে বিয়ে, নিজের সন্তানদের নামকরণে অসাম্প্রদায়িক মানসিকতায় এর প্রমাণ তো মেলেই। এ জন্য তিনি একদিক থেকে আমাদের অন্যতম ‘কাব্যাচার্য’ও অন্যদিকে আমাদের আরেকজন ‘জীবনাচার্য’ও। অবশ্য এসব নামে তাঁকে আমরা নাই বা ডাকলাম। তাঁর নামটাই তো যেকোনো উপাধির চেয়ে বড়। নজরুল নজরুলই, তাঁর কোনো উপাধি লাগে না।
লেখক : কর্মকর্তা, বাংলা একাডেমি