এমআরপি পাসপোর্টের জন্য মালয়েশিয়ায় আঙুলের ছাপ কর্মসূচি

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে দ্রুত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এআরপি) পৌঁছে দিতে শুরু হয়েছে আঙুলের ছাপ নেওয়ার কর্মসূচি। দেশটির দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের মোবাইল ক্যাম্পেও এই কার্যক্রম চলে।
গত ২৫ জুন এমআরপির মোবাইল ক্যাম্পিংয়ের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার মো. ফয়সল আহমেদ। এরপর থেকেই ক্যামেরুন হাইল্যান্ড মোবাইল ক্যাম্পে আবেদন জমা দিতে বাংলাদেশি অনেক শ্রমিক ভিড় করেন।
মো. আলী বিন আব্দুল ওয়াহিদ আলীর সহায়তায় এবং ডা. মিজানুর রহমানের সার্বিক প্রচেষ্টায় ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের কাম্পোং বারু ও কলাতেলায় ২৫ ও ২৬ জুন বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে দুইদিনের কর্মসূচিতে ৪০০ জনের আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। ঈদের পর পরই পর্যায়ক্রমে শ্রমিকদের মেশিন রিডেবেল পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ করা হবে।
মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি এস কে শাহীন বলেন, ক্যামেরুন হাইল্যান্ড থেকে একজন শ্রমিককে দূতাবাসে যেতেই শুধু খরচ হতো ৬০০ থেকে ৮০০ রিঙ্গিত। সেখানে কেবল ব্যাংক ড্রাফট ১১৬ রিঙ্গিতের বিনিময়ে ক্যামেরুন হাইল্যান্ডেই তাঁরা এমআরপির আবেদন জমা দিয়েছেন। যাঁরা এবার ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদের জন্য পরবর্তী সময়ে আবার নতুন তারিখ জানিয়ে এমআরপির আবেদন জমা নেওয়া হবে।
শাহীন আরো বলেন, মোবাইল ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা সব প্রবাসীর হাতে এমআরপি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক মাসের মধ্যেই গ্রাহকের হাতে এমআরপি দেওয়ার চেষ্টা করছে দূতাবাস।
পারটুবুহান পেঙ্গুসাহা বুঙ্গান বুঙ্গানান (অ্যাসোসিয়েশন) ক্যামেরুন হাইল্যান্ড , পাহাং, দারুল মাকমুর মালয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট মি লি পেংফো বলেন, দূতাবাসের কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার কারণেই ক্যামেরুন হাইল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশিরা সহজেই পাসপোর্ট করতে পারছেন। আর এসব স্থানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দূতাবাসের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং এই উদ্যোগের জন্য তাঁরা হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম, ডেপুটি হাই কমিশনার মো. ফয়সল আহমেদ, কাউন্সিলর (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলামসহ দূতাবাসের সব কর্মকর্তাকেই ধন্যবাদ জানান।