নতুন চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়তেন নবী করিম (সা.)
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আরবি দশম মাস শাওয়ালের ১ তারিখ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়ে থাকে। দীর্ঘ এক মাস রোজার পর আকাশে শাওয়ালের নতুন চাঁদের উকি যেন সর্বত্রই খুশির বার্তা ছড়িয়ে দেয়। তবে নতুন চাঁদ দেখতে পেলে বিশেষ দোয়া পড়ার কথা এসেছে হাদিসে। হাদিস শরিফে নতুন চাঁদ দেখার বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে।
তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নতুন চাঁদ দেখতেন, তখন নিচের দোয়াটি পড়তেন-
اللهُ أَكْبَرُ اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيْمَانِ، وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ ، وَالتَّوْفِيقِ لِمَا تُحِبُّ رَبُّنَا وَتَرْضَى رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللهُ .
উচ্চারণ : 'আল্লাহু 'আকবারু 'আল্লা-হুম্মা 'আহিল্লাহু 'আলায়না বিল 'আমনি ওয়াল'ঈমানি ওয়াসসালামাতি ওয়াল 'ইসলামি ওয়াত-তাওফিকি লিমা তুহিব্বু রব্বুনা- ওয়া তারযা রব্বুনা ওয়া রব্বুকাল্লাহ।
অর্থ: 'আল্লাহ সবচেয়ে বড়, হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে এবং যা তুমি ভালবাস, আর যাতে তুমি সন্তুষ্টি হও, সেটাই আমাদের তাওফীক দাও। আল্লাহ আমাদের এবং তোমার (চাঁদের) প্রতিপালক।' (তিরমিযী-৫/৫০৪, দারেমী- ১/৩৩৬)
নতুন চাঁদকে আরবিতে বলে ‘হিলাল’। ‘হিলাল’ হচ্ছে এক থেকে তিন তারিখের চাঁদ। অন্য হাদিসে আছে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তোমরা তা (রমজানের চাঁদ) দেখলে সিয়াম পালন করবে এবং তা দেখে ইফতার করবে। আর তোমাদের কাছে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে তার হিসাব (৩০ দিন) পূর্ণ করবে। (সহীহ বুখারী: ১৯০০)