বিনিয়োগকারীদের ভাল কিছু দিতে পারব : টেকনো ড্রাগসের এমডি
টেকনো ড্রাগসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহজালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে যে পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে, তার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ভাল কিছু দিতে পারবো।
গতকাল রোববার (১৪ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাথে টেকনো ড্রাগসের ডিএসইতে তালিকাভুক্তিকরণ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শাহজালাল উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ডিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খাইরুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ এবং টেকনো ড্রাগসের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর আমরা ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হতে পেরেছে। যা আমাদের ব্যবসায় প্রসারে সহযোগিতা করবে। আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে যে পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে, তার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ভাল কিছু দিতে পারবো।
স্বাগত বক্তব্যে ডিএসই প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খাইরুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ বলেন, টেকনো ড্রাগস কোম্পানিটি ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোম্পানিটির আইপিওতে রেকর্ড পরিমাণ সাবসক্রিপশন হয়েছিল। যা তাদের দায়িত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লিস্টিংয়ের পর পোস্ট লিস্টিংয়ের কার্যক্রমগুলো ও কমপ্লায়েন্সের বিষয়গুলো তাদের সঠিকভাবে পালন করতে হবে। একই সাথে পরবর্তীতে আপনারা বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রতিদান দিতে পারবেন বলে আশা করছি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগের উপ মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান, সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান মো. রবিউল ইসলাম, টেকনো ড্রাগসের চেয়ারম্যান খালেদা আক্তান খান, কোম্পানির পরিচালক, ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটালের সিইও এবি পারভেজ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই স্টক এক্সচেঞ্জ ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের (ইএসএস) মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শততম ইস্যু হিসেবে টেকনো ড্রাগসের শেয়ার প্রো-রাটার ভিত্তিতে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। শততম ইস্যুর শেয়ার বরাদ্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক
এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু আইপিওর আবেদনের ক্ষেত্রে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ১০০ কোটি টাকার বিপরীতে ২ হাজার ৪৮৭ কোটি ১৮ হাজার ১০৪ টাকার আবেদন জমা পড়ে। যা ২৪ দশমিক ৬৪ গুণ বেশি। প্রতি ১০ হাজার টাকা আবেদনের বিপরীতে নিবাসি বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীগণ ১১টি শেয়ার এবং অনিবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীগণ ২০টি শেয়ার বরাদ্দ পায়।