সর্বশেষ হিসাব বছরে লভ্যাংশ ঘোষণা করার পর তা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ না করার কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৪ কোম্পানির চেয়ারম্যানকে ডেকে কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে কোম্পানিগুলোকে দ্রুত শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ বিতরণ করে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি লভ্যাংশ বিতরণে ব্যর্থ হলে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

গতকাল রোববার (৬ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে বিএসইসির নিজস্ব ভবনের হল রুমে বৈঠকে আলোচিত ১৪ কোম্পানির চেয়ারম্যানকে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কমিশন। এসময় কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। 

হুঁশিয়ারি পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো- লুব রেফ বাংলাদেশ, এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, ফরচুন সুজ, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, দেশ গার্মেন্টস, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, বিচ হ্যাচারি, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, খুলনা পাওয়ার, লিবরা ইনফিউশন, প্যাসিফিক ডেনিমস এবং ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স।

এদিক তহবিল কম থাকার কারণে কোম্পানিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের ঘোষণা করা লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারেনি বলে জানিয়েছে ১৪ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোম্পানিগুলোর এই বক্তব্য যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেনি বিএসইসি। এর আগে লভ্যাংশ ঘোষণা করার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো তা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করেনি অনেক কোম্পানি। এর ফলে গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে কোম্পানিগুলোকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়। তবে সম্প্রতি বেশকিছু কোম্পানি ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের বিতরণ করে ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে উন্নীত করা হয়। তবে লভ্যাংশ না দেওয়ার খাতায় আটকে পড়ে ১৪ কোম্পানি।

বৈঠকের প্রসঙ্গে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, গতকালের সভায় ১৪ কোম্পানির যথাসময়ে কেন শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারেনি তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সাথে কোম্পানিগুলোকে যতদ্রুত সম্ভব শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত লভ্যাংশ বিতরণে ব্যর্থ হলে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি।