‘আমি মারা না যাওয়া পর্যন্ত কেউ এই পদ চাইবে না’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার নির্বাচন। তবে এবারের নির্বাচনে কোনো প্যানেল থাকছে না। স্বতন্ত্র ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি বাছাই করতে নির্বাচন উন্মুক্ত রাখতে চাইছেন বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় বিসিবির ১২তম বোর্ড সভা। সভা শেষে সাংবাদিকদের নাজমুল হাসান পাপন জানান, আসন্ন নির্বাচনে পরিচালক হিসেবে নির্বাচন করবেন তিনি। এরপর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যদি তাঁকে বোর্ড প্রধান হিসেবে দেখতে চান তাহলে সে বিষয়ে পরে ভেবে দেখবেন তিনি।
এ ব্যাপারে নাজমুল হাসান বলেন, 'আমি যদি এখানে থাকি, আমার একটা জিনিস মনে হচ্ছে যে, আমি মারা না যাওয়া পর্যন্ত কেউ এই পদটা নিতে চাইবে না। এটা একটা ভুল জিনিস, আমি এটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি না। আমি চাই, বোর্ডে যারাই আসুক, তারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক, আমি সভাপতি হতে চাই। অন্তত বলুক, এখন তো কেউ বলেও না। এটা ভালো দিক না। কারও জন্য কিছু আটকে থাকে না।’
বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘সভায় ক্রিকেটের অবকাঠামো উন্নায়ন থেকে শুরু করে সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আজ ১৭৪ জনের মধ্যে ১৭১ জনের ভোটার তালিকা পেয়েছি। তাই এবারের নির্বাচনে ১৭১জন ভোটার থাকছেন। আমরা লিস্ট নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দিয়েছি। কমিশন নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করবে।'
নির্বাচনে প্যানেল সম্পর্কে নাজমুল হাসান বলেন, 'এবারের নির্বাচনে আমার কোনো প্যানেল নেই। আমি পরিচালক হয়ে থাকতে চাই। আমার প্রথম আবেদন থাকবে, সভাপতি হতে চাই না। এরপর কী হয় আমি জানি না।’
চলতি মাসে শেষ হয়ে যাবে বিসিবি সভাপতি হিসেবে নাজমুল হাসান পাপনের দ্বিতীয় মেয়াদ। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে বিসিবি নির্বাচনের জন্য এত সময় নেবে না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চায় বোর্ড। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে বিসিবির নির্বাচন।