বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার সঙ্গী হলো বিকাশ
আর্জেন্টিনার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার কথা নতুন কিছু নয়। কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীন সেই বার্তা সূদর আর্জেন্টিনায় পৌঁছে গেছে প্রতিনিয়ত। তাতে দুদেশের সঙ্গে সম্পর্কের রং আরও গাঢ় হয়। এবার সেই সম্পর্কের রঙে নতুন মাত্র যোগ করল মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান বিকাশ। আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের ‘পৃষ্ঠপোষকের’ তালিকায় নাম লেখাল বাংলাদেশের বিকাশ।
গতকাল সোমবার (৯ মে) বিকাশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। নিজেদের ‘ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ’ হিসেবে বিকাশের নাম ঘোষণা করেছে তারা। এ ছাড়া বিকাশও সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আর্জেন্টিনার দলের ‘স্পন্সর’ হিসেবে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আর্জেন্টিনার ‘আঞ্চলিক ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ’ হিসেবে যুক্ত হয়েছে বিকাশ।
এএফএ এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘কাতার বিশ্বকাপে বাংলাদেশি ভক্তদের থেকে পাওয়া প্রবল সমর্থন ও ভালোবাসাকে গুরুত্ব দিয়েই এ ব্র্যান্ড অংশীদারত্ব, বিকাশের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা দলের প্রতি আবেগকে আরও ছড়িয়ে দেবে।’
বিকাশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক বার্তায় লেখা হয়েছে, ‘জয়ের অদম্য চেষ্টার বিকাশ ঘটিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জয় করেছে আর্জেন্টিনা। প্রযুক্তি আর দক্ষতার শক্তিতে আমরাও বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছি আর্থিক লেনদেনের আধুনিক সব সেবা, জয় করেছি কোটি গ্রাহকের মন। দুই চ্যাম্পিয়ন আজ থেকে একসাথে নতুন সম্ভাবনার পথে—সবসময়, সব প্রয়োজনে।’
এ ছাড়া বিকাশের বিজ্ঞপ্তিতে এএফএ এর সভাপতি ক্লাউদিও ফ্যাবিয়ান তাপিয়াকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল পুরো বিশ্বকাপজুড়েই বাংলাদেশিদের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছে। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন প্রথম বাংলাদেশি আঞ্চলিক ব্র্যান্ড পার্টনার হিসেবে বিশ্বনন্দিত ফিনটেক কোম্পানি বিকাশকে পেয়ে ভীষণ আনন্দিত।’
বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, ‘বাংলাদেশের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গল্পও এখন বিশ্বব্যাপী নন্দিত। সমৃদ্ধির পথে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে আমাদের জনগণের নিরলস প্রচেষ্টা শিগগির বাংলাদেশকে একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে চলেছে। এই প্রত্যাশার আলোকেই, বিশ্বের শীর্ষ ফুটবল দল আর্জেন্টিনা এবং লিওনেল মেসির মতো খেলোয়াড়রা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রিয় ব্র্যান্ড বিকাশ এর সাথে সহযোগী হতে আগ্রহী হয়েছে। খেলাধুলা ও বিনোদনের মাধ্যমে এই অংশীদারত্ব সৌহার্দ্যের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, পাশাপাশি সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গল্পকে আরো গভীরভাবে জানাতে সাহায্য করবে।’