মিসবাহর পর ইউনিসেরও বিদায়

কয়েক দিনের ব্যবধানে আবার শিরোনামে পাকিস্তানের ক্রিকেট। গত বৃহস্পতিবার অবসরের ঘোষণা দেন দেশটির জাতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক মিসবাহ উল হক। এর মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে অবসরের ঘোষণা দিলেন দলটির আরেক তারকা ব্যাটসম্যান ইউনিস খান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজটাই তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ বলে জানিয়ে দিলেন এই ব্যাটসম্যান।
আজ করাচিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে নিজের বিদায়ের ঘোষণা জানান ইউনিস। ডান হাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে আমার বিদায়ের ঘোষণা জানাচ্ছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
মিসবাহ বিদায়ের দুদিন পরই হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত, প্রশ্নের জবাবে ইউনিস বলেন, ‘আপনারা জানেন, এটা হুট করে নেওয়া কোনো বিষয় নয়। কয়েকদিন ধরেই আমার অবসর প্রসঙ্গে গুঞ্জন চলছে।’
মিসবাহ উল হক অবসর নেওয়ার পরই ইউনিসের বিদায় নিয়ে বেশ সরব ছিল পাক মিডিয়া। অবশেষে সবার আশঙ্কাটা সত্যি করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিলেন পাকিস্তানকে ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানো এই অধিনায়ক। ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর ওয়ানডে থেকে অবসর নেন এই ব্যাটসম্যান।
পাকিস্তানের হয়ে এখন পর্যন্ত ১১৫টি টেস্ট খেলেছেন ইউনিস। ৩৪টি সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর নামের পাশে। যা দেশটির হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড। ২৫ টেস্ট সেঞ্চুরি নিয়ে ইউনিসের পরই রয়েছেন ইনজামাম উল হক। দশ হাজার রানের খুব কাছে রয়েছেন তিনি। আর মাত্র ২৩ রান হলে প্রথম পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করবের ইউনিস। এখন পর্যন্ত ৫৩.০৬ গড়ে রান ৯৯৭৭ করেছেন তিনি। গড়ের দিক থেকেও দেশটির সেরা ব্যাটসম্যান তিনি।
টেস্টে এক হাজারের বেশি রান করেছেন এমন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো গড় ইউনিসের। দেশটির হয়ে টেস্টে গড়ে পঞ্চাশের বেশি রান করেছেন মাত্র চারজন। ইউনিস (৫৩.০৬), জাভেদ মিয়াদাদ (৫২.৫৭), মোহাম্মদ ইউসুফ (৫২.২৯) ও ইনজামাম উল হক (৫০.১৬)। সম্প্রতি উইজডেনের বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের তালিকায় ছিল ইউনিস খানের নাম।
২০০০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্টে অভিষেক হয় ইউনিস খানের। সে বছর লঙ্কানদের বিপক্ষেই ওয়ানডেতেও অভিষেক হয়।