এত নরমে এত ধার!

তাঁর রহস্যময় ‘অফ কাটারে’ রীতিমতো দিশেহারা ধোনি-কোহলিরা। আর তাঁর স্লোয়ারে তো বিভ্রান্ত সবাই। যাঁর বোলিংয়ে এত ধার, এত বৈচিত্র্য, সেই মুস্তাফিজুর রহমান কথায় ততটা বাকপটু নন। সংবাদমাধ্যমের সামনে এলেই তিনি যেন কুঁকড়ে যান।
অথচ মাঠে থাকেন বেশ উৎফুল্ল। সতীর্থদের সঙ্গেও তাঁর বেশ বোঝাপড়া। আর উইকেট পেলে তো উচ্ছ্বাস থাকেই। তা ছাড়া উইকেট তোলার জন্য থাকেন বেশ আগ্রাসী।
না, শুধু সংবাদমাধ্যমের সামনেই নন, সাতক্ষীরার এই বাঁ-হাতি পেসার ব্যক্তিজীবনে খুবই বিনয়ী। কথায়ও রয়েছে পরিমিতিবোধ। তাঁর বোলিংয়ের মতো আচরণও তাই অন্য সবাইকে বেশ আকৃষ্ট করে।
তাই ড্রেসিংরুমে মুস্তাফিজ এখন সবার নয়নের মণি। কোচ-অধিনায়ক তো এই তরুণ পেসারকে একটু আগলে রাখেনই। সতীর্থদের কাছেও তিনি ভালোবাসার পাত্র।
অথচ পাঁচ-ছয় দিন আগেও এই তরুণ পেসারের জীবন ছিল একটু অন্য রকম। কেউ তাঁকে তেমন করে চিনতও না। অথচ দুটি ম্যাচের অসাধারণ সাফল্যে তাঁর জীবন যেন বদলে গেল। এখন সবার ভালোবসায় সিক্ত এক বিজয়ী ক্রিকেটার।
সবার এত ভালোবাসা পেয়েও মুস্তাফিজ খুশি হলেও একেবারে উদ্বেলিত নন; বরং নিজের বোলিং আরো শাণিত করার লক্ষ্য তাঁর। বলেছেনও, ‘আমাকে আরো ভালো কিছু করতে হবে। আরো পরিশ্রম করতে হবে। আরো অনেক দূর পথ পাড়ি দিতে হবে।’
যেমনি করে সাতক্ষীরা থেকে উঠে এসে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। প্রথম দুটি ওয়ানডেতে অসাধারণ সাফল্য দিয়ে মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। এবার কি পারবেন তিনি বিশ্বজয় করতে।