শাস্ত্রীই হলেন কোহলিদের কোচ
অনুমিতই ছিল তা, বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আজ মঙ্গলবার দুপরে সেটাও দিয়ে দিল বিসিসিআই। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত সাবেক এই টিম ডিরেক্টরকে কোহলিদের কোচ হিসেবে নিয়োগ দিল ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী এই বোর্ড।
গত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর ভারতীয় জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে অনিল কুম্বলে পদত্যাগ করার পর থেকেই আসনটি ফাঁকা ছিল। বিসিসিআই ঘোষণা দিয়েছিল, শ্রীলঙ্কা সফরের আগেই নতুন কোচ পাবেন কোহলিরা। সেই ধারাবাহিকতায় রবি শাস্ত্রীর ওপর দলের দায়িত্ব অর্পণ করল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
অনেক দিন ধরেই জাতীয় দলের কোচ হওয়ার চেষ্টা করছেন রবি শাস্ত্রী। এর আগের দফায় সফল হতে পারেননি সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে। তবে এবার সফল হয়ে গেলেন ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার। বিরাট কোহলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে দারুণ সম্পর্কের কারণে এবার আর কেউ বাধা হতে পারেনি শাস্ত্রীর সামনে।
গত সোমবার মুম্বাইয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী, শচীন টেন্ডুলকার ও ভিভিএস লক্ষণের সমন্বয়ে গঠিত কোচ নিবার্চন কমিটির সামনে সাক্ষাৎকার দেন রবি শাস্ত্রী, বিরেন্দর শেবাগ, রিচার্ড পাইবাস, টম মুডিরা। তবে সবাইকে পেছনে ফেলে শেষ পর্যন্ত হটসিটটা দখল করলেন রবি শাস্ত্রী।
এর আগে কোহলির সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েই ভারতের কোচের আসনটি হারান অনিল কুম্বলে। শোনা যায়, কুম্বলে নাকি ক্রিকেটারদের প্রতি একটু বেশিই কঠোর ছিলেন। তবে এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি অধিনায়ক কোহলিসহ বাকিরা। এর ফলে কোচ-অধিনায়ক দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে দলের ওপর। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে যায় ভারত। ইংল্যান্ড থেকে ফিরে কুম্বলের সঙ্গে আর চুক্তি বাড়ায়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
কুম্বলে পদত্যাগ করার পর নতুন কোচ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। তবে অধিনায়ক বিরাট কোহলির প্রথম পছন্দ ছিলেন রবি শাস্ত্রী। সেই কারণেই আবার জাতীয় দলে নিজের পুরোনো জায়গা ফিরে পেলেন ভারতের সাবেক এই অলরাউন্ডার। এর আগে ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ভারতের টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন শাস্ত্রী।