চলছেই ২২২ মিলিয়ন ডলার শো

নেইমারের ট্রান্সফার নিয়ে অনেক কথাই হচ্ছিল। সমালোচকরা বলছিলেন, পিএসজিতে গেলে ফুরিয়ে যাবেন নেইমার। অনেকে ভাবছিলেন, প্যারিসে বার্সার মতো দল পাবেন না ব্রাজিল তারকা। ফলে সফলতা পেতেও কষ্ট করতে হবে তাঁকে। কিন্তু সমালোচকদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা। প্যারিসে দ্বিতীয় ম্যাচেও চলল নেইমার শো। নিজে তো দুটি গোল করেছেনই, সেই সঙ্গে পিএসজির বাকি চারটি গোলেও রয়েছে তাঁর প্রত্যক্ষ অবদান।
অভিষেক ম্যাচে গুইংগাম্পের বিপক্ষে নিজেকে রাঙিয়ে তোলেন নেইমার। সেই ম্যাচে নিজে গোল করে ও সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়ে প্যারিস পর্বটা স্মরণীয় করে রাখেন তিনি। প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে নেইমার দেখিয়ে দিলেন, কেন তাঁকে ২২২ মিলিয়ন ডলারে কেনা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আরো ভয়ংকর হয়ে উঠলেন এই তারকা। এই ম্যাচে পিএসজি করেছে ছয়টি গোল। ছয়টিতেই অবদান করেছে নেইমারের। নিজে করেছেন দুটি, বাকি চারটি করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে।
ফ্রান্সের লিগ ওয়ানের দল তুলুসকে ৬-২ গোলে হারিয়েছে প্যারিস। এই ম্যাচ দিয়েই পিএসজির হোমগ্রাউন্ড পার্ক দেস প্রিন্সেসে অভিষেক হলো নেইমারের। ঘরের মাঠে অভিষেক ম্যাচে প্রথমে অবশ্য গোল হজম করেছিল পিএসজিই। ১৮তম মিনিটে প্যারিসের সমর্থকদের অবাক করে দিয়ে গোল করে বসে তুলুস। এ কারণেই রাগে-অপমানে কি না একে একে ছয়টি গোল করে বসল পিএসজি। শুরুটা করেছিলেন নেইমারই। র্যাবিওটের নেওয়া শটটা কোনোমতে আটকে দিয়েছিলেন তুলুসের গোলরক্ষক। তবে ঠিক সামনেই ছিলেন নেইমার। একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে গোল করে বসেন এই ব্রাজিলিয়ান।
শুরুতে গোল না পেলেও চার মিনিট পরেই গোল করেন ফরাসি তারকা আদ্রিয়েন র্যাবিওট। এই গোলে প্রত্যক্ষ অবদান আছে নেইমারের। তাঁর পাস থেকে বল পেয়েই সেটা জালে জড়িয়ে দেন র্যাবিওট। এরপর মিনিট চল্লিশেক সময় আর কোনো গোল করতে পারেনি কোনো পক্ষই। গোলের দরজাটা খুলে দেন নেইমার। ৭৪তম মিনিটে তাঁকে ডি-বক্সে ফাউল করে তুলুস। পেনাল্টি থেকে গোল করে এডিনসন কাভানি।
মিনিট তিনেক পরই অবশ্য একটা গোল শোধ করে তুলুস। কর্নার থেকে গোল করেন থিয়াগো সিলভা। চার মিনিট পর ব্যবধানটা আরো বাড়াতে সাহায্য করেন নেইমার। চতুর নেইমার কর্নার কিকের বলটা দেন জাভিয়ের পাস্তোরেকে। দারুণ শটে গোল করেন আর্জেন্টাইন তারকা। এরপর নেইমারের পাসে গোল করেন লেইভিন কুরজাওয়া। যোগ করা সময়ে গোল করে ব্যবধানটা ৬-২ করেন নেইমার।