খুলনার বিপক্ষে ঢাকার ২০২ রানের পাহাড়

এভিন লুইস যখন আউট হন, ১৩ ওভারে ঢাকা ডায়নামাইটসের রান তখন ১৫৪। বাকি সাত ওভারে রানটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেই হিসাব করছিলেন দলটির সমর্থকরা। তবে ঢাকার স্কোরটা নাগালের বাইরে যেতে দেয়নি খুলনা টাইটানসের বোলাররা। ২০২ রানের মধ্যেই ঢাকার স্কোরটাকে বেঁধে ফেলেন ব্রাফেট-শফিউলরা। জয়ের জন্য খুলনাকে করতে হবে ২০৩ রান। বোঝাই যাচ্ছে, জিততে হলে ইতিহাস করতে হবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলকে। বিপিএলে এত বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আর দ্বিতীয়টি নেই।
আজ টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিল ঢাকা ডায়নামাইট। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৬ রান। সেখানে কুমার সাঙ্গাকারার অবদান ১২ বলে ২০ রান। এই ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ৯ ওভারে ১১৬ রান যোগ করেন ক্যামেরন দেলপোর্ট ও এভিন লুইস। ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন দেলপোর্ট। দলীয় ১৫৬ রানে লুইস ফিরে যান। ৪০ বলে ৬৬ রান করেন তিনি। এরপর ১৫তম ওভারে ৬৪ রান করা দেলপোর্ট ফিরে গেলে ঢাকার রানের চাকাটা স্থবির হয়ে পড়ে। সাকিব আল হাসান, কাইন পোলার্ডরা তেমন কিছুই করতে পারেননি। সাকিব এক ও পোলার্ড করেন পাঁচ রান। শেষে দিক সুনীল নারাইন ১১ বলে ১৬ রান করলে শেষ পর্যন্ত ২০২ রানের বড় সংগ্রহ পায় ঢাকা ডায়নামাইটস।
খুলনা টাইটানসের আবু জায়েদ ও শফিউল ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট।
জিততে হলে বিপিএল রেকর্ড করতে হবে খুলনাকে। এর আগে বিপিএলের কোনো আসরে ২০০ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। ২০১৩ সালে রংপুর রাইডার্সের করা ১৯৭ রান টপকে যায় সিলেট রয়্যালস। এটিই বিপিএলে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। দেখা যাক, আজ নতুন করে ইতিহাস লিখতে পারে কি না খুলনা টাইটানস।
ঢাকা ডায়নামাইটস একাদশ : সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী মারুফ, জহুরুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, সুনীল নারাইন, কুমার সাঙ্গাকারা, এভিন লুইস, কাইরন পোলার্ড ও ক্যামেরন ডেলপোর্ট।
খুলনা টাইটানস একাদশ : মাহমুদউল্লাহ, শফিউল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত, আবু জায়েদ, আরিফুল হক, রিলে রুশো, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, চ্যাডউইক ওয়ালটন, জফরা আর্চার ও আকিলা ধনঞ্জয়া।