বিদেশি টি-টোয়েন্টি লিগে বিধিনিষেধে সমস্যা দেখছেন না মাশরাফি

এক বছরে দুটির বেশি বিদেশি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে পারবেন না কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে শোনা গেছে। অবশ্য এ ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তাতে বড় কোনো সমস্যা দেখছেন না বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কারণ খেলোয়াড়দের কাছে জাতীয় দলে খেলাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।
২০০৮ সালে ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা আইপিএল শুরুর পর এখন প্রায় সব দেশই এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করছে। বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত খেলে থাকেন সাকিব আল হাসান। এক বছরে তিন বা চারটি টি-টোয়েন্টি লিগও খেলেছেন এই বাংলাদেশি অলরাউন্ডার।
বিসিবির এই সিদ্ধান্ত খেলোয়াড়দের ওপর প্রভাব পড়বে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘জাতীয় দলে যারা খেলে থাকে বা যারা ভবিষ্যতে আসবে, তাদের স্বপ্ন থাকে বাংলাদেশ দলে খেলা। আমার কাছে মনে হয় না এটা বড় কোনো সমস্যা। বাংলাদেশের কজনই বিদেশি লিগে খেলে। সাকিবই বেশি খেলে থাকে। তাই আমার কাছে মনে হয় না এটা বড় কোনো সমস্যা হবে। অবশ্য এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে খেলোয়াড়দের মধ্যে কোনো অসন্তোষ তৈরি হবে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে নড়াইল এক্সপ্রেস বলেন, ‘সবাই বিপিএল নিয়ে ব্যস্ত। তাই খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। বোর্ডের সঙ্গে কথা বলার পরই এ ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। তার আগে কিছু বলা ঠিক হবে না।’
কয়েক বছর ধরেই সাকিব নিয়মিতভাবে খেলে আসছেন ভারত, পাকিস্তান, ক্যারিবিয়ান লিগগুলোতে। তামিম ইকবাল, মুস্তাফিজুর রহমান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহর মতো তারকাদের দিকেও হাত বাড়াতে শুরু করেছে বিদেশি টি-টোয়েন্টি লিগগুলো। তবে এখন থেকে বিদেশি লিগগুলোতে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা বাছবিচার করতে হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।
বিসিবি চাচ্ছে বছরে দুটির বেশি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। এ প্রসঙ্গে কদিন আগে প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন চৌধুরী বলেছিলেন, ‘এটা বোর্ডের একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। আমরা বছরে দুটি আসরে অনাপত্তিপত্র দেব। আমরা খেলোয়াড়দের পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে চাই। আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোর জন্য যেন সবাইকে দলে পাওয়া যায়।’