রিচি বেনোকে সারের শ্রদ্ধাঞ্জলি
রিচি বেনোর গোটা জীবন ছিল ক্রিকেটময়। খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য উচ্চতায়। অবসরের পর ধারাভাষ্যকার হিসেবেও পেয়েছিলেন কিংবদন্তির সম্মান। গত এপ্রিলে ৮৪ বছর বয়সে পরলোকে পাড়ি জমালেও বেনোকে কখনোই ভুলতে পারবে না ক্রিকেট-দুনিয়া।
এই মহান ক্রিকেট ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর নামে ওভালের একটি সম্প্রচার কক্ষের নামকরণ করেছে মাঠটির স্বত্বাধিকারী সারে। ইংল্যান্ডের কাউন্টি দলটির অনুরোধে ‘রিচি বেনো কমেন্ট্রি বক্সের’ উদ্বোধন করেছেন তাঁর স্ত্রী ড্যাফনে।
ধারাভাষ্যকক্ষে বেনোর সপ্রতিভ উপস্থিতি, অননুকরণীয় বাচনভঙ্গি, শব্দচয়ন আর রসবোধ উপভোগ করতেন সহকর্মীরাও। টিভি দর্শকের প্রিয় ধারাভাষ্যকার তো ছিলেন অবশ্যই। দীর্ঘ ৪০ বছর ধারাভাষ্য দিয়েছিলেন। ক্রিকেট ধারাভাষ্যে তাঁর জুড়ি মেলাই ভার। লিখেছেন ক্রিকেটবিষয়ক বেশ কয়েকটি বই। ছড়িয়ে দিয়েছেন নিজের ক্রিকেট-ভাবনা।
খেলোয়াড় হিসেবেও বেনো পেয়েছিলেন ঈর্ষণীয় সাফল্য। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ২০০০ রান ও ২০০ উইকেটের ‘ডাবল’ স্পর্শ করার কৃতিত্ব এই অসাধারণ অলরাউন্ডারেরই।
৬৩ টেস্ট খেলে ২,২০১ রান করার পাশাপাশি লেগস্পিনের ঘূর্ণিতে শিকার করেছেন ২৪৮ উইকেট। অধিনায়ক হিসেবেও বেনো সফল। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত তাঁর অধিনায়কত্বে অস্ট্রেলিয়া হয়ে উঠেছিল অপ্রতিরোধ্য। ওই সময়ে অস্ট্রেলিয়া একটি টেস্ট সিরিজও হারেনি।