ব্ল্যাটারের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার ফিফার স্পন্সররা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/10/03/photo-1443859477.jpg)
গত মে মাসে পঞ্চমবারের মতো ফিফা সভাপতি নির্বাচিত হলেও নানাবিধ দুর্নীতি আর অনিয়মের অভিযোগে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন সেপ ব্ল্যাটার। তবে পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার আগপর্যন্ত ব্ল্যাটারের হাতেই আছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার নিয়ন্ত্রণ। গত সপ্তাহে ব্ল্যাটারের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হওয়ার ঘোষণা আসার পর আবার চাপের মুখে পড়েছেন ব্ল্যাটার। যত দ্রুত সম্ভব তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছে ফিফার স্পন্সররা।
ইতিমধ্যে ফিফা সভাপতির পদ থেকে ব্ল্যাটারের পদত্যাগ চেয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে কোকা-কোলা, ভিসা, বাডওয়েসার ও ম্যাকডোনাল্ডস। শুরুটা করেছিল কোকা-কোলা। বিবৃতিতে তারা লিখেছিল, ‘প্রতিদিন ফিফার ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ ম্যাকডোনাল্ডস বলেছে, ‘ফুটবলের স্বার্থে’ ব্ল্যাটারের সরে দাঁড়ানো উচিত। একই রকম বক্তব্য এসেছে ভিসার পক্ষ থেকে। আর আমেরিকান বিয়ার কোম্পানি বাডওয়েসার মনে করে, ব্ল্যাটার ‘ফিফার পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় বাধা তৈরি করছেন।’
গত মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। সে সময় সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফার কংগ্রেসের ঠিক আগে একটি হোটেল থেকে শীর্ষস্থানীয় সাত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছিল সুইস পুলিশ। কংগ্রেসে অবশ্য পঞ্চমবারের মতো ফিফা সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ব্ল্যাটার। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার মাত্র চারদিন পর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। গত সেপ্টেম্বরে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ফিফার মহাসচিব জোরোম ভালকের বরখাস্তের ঘটনায় পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে। তারপর অভিযোগের তীর ছুটে গেছে ব্ল্যাটারের দিকেও।
ব্ল্যাটার ও উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনির মধ্যে ২০ লাখ ডলার আদান-প্রদানের অভিযোগ নিয়ে নতুন করে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে সুইস কর্তৃপক্ষ। সুইস আইনজীবীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্লাতিনির সঙ্গে ২০ লাখ ডলারের ‘অনৈতিক’ লেনদেন করেছিলেন ব্ল্যাটার।