অলিম্পিকে ক্রিকেট চান শচীন-ওয়ার্ন
খেলার মাঠে তাঁরা ছিলেন একে অপরের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। মাঠের বাইরে তাঁদের বন্ধুত্বের কথাও কারো অজানা নয়। ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার ও শেন ওয়ার্ন এখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমেছেন ক্রিকেটকে আরো জনপ্রিয় করে তোলার মিশনে। সে লক্ষ্যে সাবেক ও বর্তমান তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের আয়োজন করেছেন শচীন-ওয়ার্ন। এবার অলিম্পিকেও ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি তুলেছেন ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই দুই ক্রিকেটার।
অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি এরই মধ্যে অনেকেই তুলেছিলেন। কিন্তু সেগুলোতে কান দেয়নি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি। তাদের ভয় ছিল যে, এতে ফিকে হয়ে যেতে পারে ৫০ ওভারের ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো জনপ্রিয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতাগুলোর জৌলুস। তবে অলিম্পিকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইভেন্ট যুক্ত করা হলে তাতে বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন শচীন ও ওয়ার্নের মতো কিংবদন্তিরা।
ওয়ার্ন বলেছেন, ‘আমি অলিম্পিকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দেখতে পছন্দ করব। কারণ, এটা মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এটা আয়োজন করাও খুব সহজসাধ্য ব্যাপার এবং একদিনে দুই বা তিনটি ম্যাচও খেলা যায়। এখানে সহযোগী দেশগুলোকেও যুক্ত করা যায়। কারণ, এতে বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের প্রচার-প্রসার বৃদ্ধিতে অনেক সুবিধা হবে।’ টেন্ডুলবারও গলা মিলিয়েছেন ওয়ার্নের সঙ্গে। ভারতের এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করাটা হবে একটা দারুণ ব্যাপার। আর এ জন্য টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটাই আদর্শ। ক্রিকেট সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা নেই এমন মানুষের জন্য এই ফরম্যাট বোঝাই সবচেয়ে উপযোগী। অন্য আরো অনেক খেলার মতো এটা মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। কেউ স্টেডিয়ামে গিয়ে তিন ঘণ্টা খেলা দেখে আবার নিজের কাজে চলে যেতে পারে।’
আগামী নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা আইসিসির। অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না, সে ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা হবে এ বৈঠকে।